স্তব্ধ মাঠ শ্যামলীর বুকে পল্লবীর হাওয়ায়
কলকল বিহঙের মধুর ধ্বনি শোনা যায়।
পল্লীর রঙ্গে নাচে মন গাহে আর ধায়
বৈকাল বেলা মরুভূমির তটে সূর্যাস্ত হয়।
আষাঢ়ে কালো মেঘ রাস্তা কাদা ঘন বর্ষায়
দীপান্বিতা ছুটে আসে ঘোর অমানিশায়।
চাষা ক্ষেতে লাঙল নিয়ে মৃত্তিকা চিড়ে
ফসল ফলায় কয়েক ফোটা ঘামে ভেজা মনে।
সোনালী আভায় ঢেকে যায় পল্লীর প্রান্তর
পল্লবরাজি কুচুরি পানা, পদ্দ, শাপলায় ভরপুর
মনে হয় যেন পল্লীর সুর ধেয়ে আসে কাণে ভোর-দুপুর।
অনন্ত আকাশ  রঙিন খাতার পৃষ্টায় আঁকি
তাই তো পল্লীসুলভ প্রেমের টানে বারবার আসি।
পল্লীগীতি গায় মন রঙ্গরসে নাচে
প্রান্তরে প্রান্তরে ঘুরে দেখছি সদা বসে।
গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে বর্ষার ফোটায়
শরৎতের মধুর গন্ধে হেমন্তে গান গায়
শীতের ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে বসন্তের আভায়
চলে যায় বারমাস, রঙিন স্বপ্নগুলো শুধু থেকে যায়।
বৃক্ষের ডগায় নব নব পল্লব সবুজে মুখরিত
এরপর, ঝরে পড়া পত্রমোচী মর্মর করে যত।
অপরূপ সাজে মোহিত সবে জীর্ণ মন মুগ্ধতায়
বারবার আসি ফিরে তোমার স্নিগ্ধতায়।