মোর অন্তর আজ বিরহের দহনে
কাঁদি শুধু নীরব নিশীথে গোপনে,
উদ্বেগে মগ্ন নিত্য একাকী আনমনে
কুলায় ভাঙে বিহঙ্গের ঝাঁক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


নসিব কোনদিন বদলাবেনা জানি
সওগাত দিয়েছে সে চোখের পানি,
পিছন ফিরে তুমি দিওনা হাতছানি
এ ভাবেই সব পড়ে থাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


সভ্যতার ইমারতে লেগেছে কলঙ্ক
চিত্তে তোমায় না-পাবার আতঙ্ক,
আপন শোকে দেখি নভ মৃগাঙ্ক
আঁধির প্রকোপে খায় ঘুরপাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


অগতির অস্তিত্ব তোমার মনে
যদি বেদনা জাগায় বক্ষের মাঝখানে,
তবে ভুলে থেকো আমায় প্রতিক্ষণে
যেন না থাকে কোন ফাঁক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


বসন্তের কোকিল হয়ে শুনিয়েছি গান
চায়নি কখনো তো তার প্রতিদান,
তুমি করেছ মোর ভালবাসা প্রত্যাক্ষাণ
তবুও রয়েছি আজো নির্বাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


প্রাণ কাঁদে বিষাদের গান গেয়ে
প্রতিক্ষিত আঁখি থাকে পথ চেয়ে,
চলি দিশাহারা তপবন বেয়ে
তবু তোমার অঙ্গনে শ্বেতাভ ছাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


জমিনে ঝরে পুস্প দ্যুলকে বারিধারা
উত্তাল নদ আজও হয় দিশাহারা,
উদকের অভাবে বৃক্ষ যায় মারা
তেমনই মোদের আখ্যান পতন পাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


বিদার ভুবনে তুমি ফুটিয়েছিলে ফুল
কেন করলে বলো এমন ভুল,
মিলবেনা কভু তটিনীর দুই কূল
তোমার প্রণয়ে হই অবাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


অপরাধ করেছি ওগো মোর প্রিয়তমা
কেন এতো আশা রেখেছিলাম জমা,
বিদায় ক্ষণে যেন করেদিও ক্ষমা
লুপ্ত হয়েছে শিখীর ডাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


রচনাকালঃ- ০৪/০৫/২০১৮