অঘ্রায়ণের আগমনে,
দেখলাম গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা;
সবুজ ঘাসের ওপর শিশিরের আবরণ
বলে অঘ্রায়ণ এল পৃথিবীর বনে;
ঝরে পড়া হলুদ পাতা দেখে মনে হলো
ঘাসের ওপর যেন কেউ বিছানা পেতেছে।


সূর্য ডুবে গেল,
সন্ধ্যাকাশের লাল বর্ণের ঝলক-
পড়লো পুকুরের জলের ওপর;
ধীরে-ধীরে আঁধার নেমে এল পৃথিবীতে।
বন-জঙ্গলের মুখে যেন স্তব্ধতা!
পথে হাঁটলাম তবু পাখিদের দেখা মেলেনা
তারা হয়তো হারিয়ে গেছে কুয়াশার ঘোরে,
পথে কিছু বাদুড়ের দেখা পেলাম
রাতের শীতল বাতাস এসে বিধছে বুকে।


ঐ দূরে,
সোনালী ধানক্ষেতের অপারে-
দেখতে পেলাম কিছু পাখিদের বাসা;
জামের ডালে ক্লান্তির আবরণ মেখে
তারা সব একত্রে বিশ্রামে মগ্ন হয়ে আছে।
ঘাস ফুলের পাপড়ী রঙ্গিন প্রজাপতির
হৃদয়ের মতো যেন নীরবতা ভর করছে!
তবু আমি হাঁটলাম ঐ সবুজ প্রান্তরের দিকে।


মাঠের ধারে,
অনেকগুলো ঝরা ফল পড়ে আছে;
ঝোপ-ঝাড়ের পাতাগুলো মাঝে-মাঝে-
বাতাসের স্পর্শ পেয়ে নড়ে চড়ে উঠছে।
চাঁদের মুক্ত আলোয় ঐ সোনালী ধানের
শীষ প্রতিক্ষণে খেলা করছে
সে কি এক অপরূপ দৃশ্য!
কীট-পতঙ্গ অপেক্ষায় মগ্ন সূর্যদয়ের।


অফুরন্ত সময়,
যেন কোন শেষ নেই তার!
যেন এক অবাধ আকাশ;
সবুজ বৃক্ষ নিজ বিকাশে নীরব হয়ে আছে।


রচনাকালঃ- ০২/১১/২০১৮