পেরিয়েছি কত জলধারা-খাল-বিল-নদী-নালা
কুহক পায়ে বন-জঙ্গল-লোকালয়ের গাছপালা,
হেটেছি এবরো থেবরো-বন্ধুর-কর্দম মেঠোপথ
পেরিয়েছি গ্রান্ড ট্রাংক আর পিচঢালা রাজপথ।


ছনের ছাউনি-কংক্রিটের ছাদ, ছায়াতরুর নীচে
ঘুমিয়েছি সবুজাভ মখমল ঘাসের উম্মুক্ত বীচে,
কাঠের-টিনের-ইটের-সিরামিকের মৃত কুঠরে
প্রাণী আমি ঘুমিয়েছি, প্রাণহীন গৃহের জঠরে।


ডাক শুনেছি হৃদয়ের খেয়া পারে- নদীর ধারে
নদীর এপারে বসলে কে যেন ডাকে ওপারে,
হাতে হাত-চোখে রেখে চোখ-মনে রেখে মন
দাবড়িয়েছি সমাজ, ফুটাতে পুষ্পপল্লব আনন।


জানিনা এখনও; নোঙ্গর ফেলেছি কোন ঘাটে
এসেছি কি; সপ্নেবুনা কল্পপরীর কল্পনার হাটে,
রহস্যময়-বৈচিত্রময় এই মনাকাশের নীলিমায়
পরেছে কোন পরী নীলাম্বরী-রোশনার পিদিমায়।


বাসা বেঁধেছে কে আমারি চিন্তে এখনও জানিনা
মনের অজান্তে বেঁধেছে কি বাসা! তাও জানিনা।