ঘুম থেকে উঠে প্রতিনিয়ত চক্ষু সহে নিত্য
ভিনদেশের বুলেটে বিদ্ধ দেশী ভাইয়ের মৃত্যু।
চালিকা শক্তির পাণে চাহি খেতে হয় ভীমরতি
হেথা উঁই পোঁকায় আক্রান্ত রাষ্ট্রের নীতি !
দেখি রক্তচোষা বাদূড়াক্রান্ত লাশের ছড়াছড়ি
অতিষ্ঠ সূর্য বলে-বলা যায়না কখন কি করি !


প্রবাহিত বাতাসের ঝাপটায় শুনতে পাই নাদ
আঘাতে আঘাতে মুমূর্ষু গণতন্ত্রের আর্তনাদ।
মাটির অস্বাভাবিক স্পন্দন জানান দিতে চায়
নিগৃতের যাতাকল পিষ্টতা মোকেও কাঁদায়।
প্রকৃতির অনিয়ম- দাপাদাপি হুঙ্কারে কহে-
ক্ষমতার পৈশাচিকতার উল্লাস তব নাহি সহে।


রাষ্ট্রের মালিক জনতা হতবাকে তাকিয়ে রয়
কিভাবে লুন্ঠিত হয় রাষ্ট্র,অবিরত হচ্ছে স্বার্থক্ষয়।
কেড়ে নেয়া হচ্ছে মানবের জন্মলব্ধের জন্মাধিকার
কুহকীনির ঘূর্ণাবর্তে পড়ে জনতা যেন নির্বিকার।
আকাশের অচেনা রুপ যেন দিয়ে যায় শাসিয়ে-
কাকে ছায়া-বৃষ্টি দিবো?ইচ্ছে হয় মারি পিষিয়ে।


বিচারহীন ন্যায়-অন্যায়ে যেন ছুটছে পুরো জাতি
অভিব্যক্তি যেন সবার-বেশ আয়েশে দিব্যি আছি।
দেশপ্রেমের টগবগে রক্ত যেন হয়েছে হিমশীতল
বেঁচে থাকাই ভবিতব্য-বলে কাপুরুষের দল্।
টলায়মান ধরিত্রীর মাথায় বাঁধে প্রশ্ন জূট
বলে-সৌর কক্ষপথ ছেড়ে কবে যেন দেই ছুট।