খুজি আমি নিকট জনের ভিতর
তাকিয়ে থাকি চোখের পানে
চোখ কিছু বলে কিনা –
ওদের অভীপ্সার আয়নায়
দেখার চেষ্টা করি তাকে
ডুব দেই অন্তর সাগরে
সেখানেও তাকে দেখিনা।


খুজে ফিরি বন্ধু-বান্ধবদের ভিতর
খুজি কর্মস্থলে,খুজি সমাজে
রাষ্ট্রযন্ত্রের ভিতর দেখার চেষ্টা করি তাকে
আমার কামনাকে,আমার বাসনাকে
পাওয়া যায় কিনা-
বৃথা চেষ্টা,কেউ চিনেনা।


খুজে খুজে আমার চোখ-মন-অনুভব
ক্লান্ত হয়ে এলিয়ে পড়ে,
তৃষ্ণায় ছটফট করে আর ভাবে-
আমার কামনা,বাসনা কি আসবে
আমার পিঁয়াস মিটাতে ?
নাকি থাকবে শুধু কল্পনাতে?


কদাচিৎ কারো ভিতর অনুভব করি তাকে
কোথাও হঠাৎ হঠাৎ দেখা পাই,
পরমূহুর্তে দুষ্ট কর্বূরের ধাওয়ায়
অদৃশ্য হয়-কোথাও সে নাই।


হামেসা আক্রমনে,ক্ষতবিক্ষত শরীরে
বেঁচে থাকে সে,
কখনও স্থানচ্যুত,কখনও সমাজচ্যুত
আবার কখনও হয়ে যায় রাষ্ট্রহারা,
হয়ে উদভ্রান্ত-হয় দিশেহারা।


আমার অবুঝ পাগলপ্রায় মন
তবুও পিছু ছাড়েনা তার,
আশায় থাকে-যদি পাই একবার
ভালোবাসার চুমু দিতাম হাজারবার।
হাসতো পল্লব, ফুটতো ফুল,দুলতো নদী
থাকতো সমাজ,খুশির উল্লোলে,
মন ভাসতো তৃপ্তির কল্লোলে।


হায় নৈতিকতা আর কত লুকাবে ?
আর কতকাল পর ধরা দেবে ?
আর কতকাল এভাবে কেঁদে কেঁদে
ফেরারী থাকবে ?
তুমিও কাঁদবে আর আমাদেরও
কাঁদিয়ে মারবে !