গভীর ঘূর্ণাবর্তের ঘূর্ণিতে ঘুরে মন-মনন
আকাশ ভাঙ্গা কান্নায় ভাসে বুক কানন,
ঘটে আমার বোন ফেলানীর মরণ,দেখি দেশপ্রেমের স্খলন
ভিনদেশী বর্গীরা তাকিয়ে চিত্তানন্দে করে উলঙ্গ আস্ফালন।


মৃত্যু যন্ত্রণায় তরপায় বোনটি আমার
ঝরে পরা রক্তে তৃষ্ণা মিটে হায়েনার,
তপ্ত সীসার যন্ত্রণায় বোনটির সময় যখন ঘুরে মরণের বাঁকে
স্বাদ জেগেছিলো ঘুমাবে মাতৃকোলে-তাই বাবা-মাকে ডাকে।


মিশে গেছে ফেলানীর দেহ বঙ্গ মাটির কোলে
অতৃপ্ত আত্বা এখনও আছে কাটাতারে ঝুলে,
সীমান্তে অকালে কাপুরুষী হত্যার শিকার হয়েছে যারা
ফেলানীর বিক্ষুদ্ধ আত্বার সাথে হাত মিলিয়েছে তারা।


হৃদয়ের চক্ষু মেলিয়া তাকালে দেখিতে পাই
কাটাতারে ঝুলছে ফেলানী,কান্নার অন্ত নাই,
এখনও ক্ষেতে পঁচে কৃষকের লাশ,নদীতে ভাসে জেলে
গুলিবিদ্ধ শিশুটি দুধপান ছেড়ে ঢলে পড়ে মায়ের কোলে।


শপথ নিয়েছে ফেলানীর আত্বা-নামবে ঐদিন
খুনিদের রক্ত ঝরিয়ে প্রতিশোধ নিবে সেদিন,
যদি থাকিস ঘুমিয়ে উচ্ছিষ্টভোগী রে কলঙ্কিত পদলেহীরা
তোদের করিবে ভষ্ম ফেলানীদের সংক্ষুব্ধ বিদেহী আত্বারা।


হৃদয়ের কর্ণ খুলিয়া শুনি ফেলানীরা ক্ষোভে ফুসছে
নতজানু শাসকদের মুণ্ডুপাতে বিধাতাকে শুধাচ্ছে,
দেশপ্রেমিদেরকে বলছে,সময় ফুরিয়েছে-খুলে দাও আস্তাবল
উঠো অশ্বে-অশ্বশক্তির রণহুঙ্কারে তোল মুক্তির নদীতে দোল।