কাউকে পাওয়ার জন্য নয় -
জেগে থাকি শুধু নিশির সাথে একাকার হবার জন্য,
জেগে থাকি নিশির নিস্তব্ধতা আত্মস্থ করার জন্য,
জেগে থাকি নিশির মাহাত্বকে অনুভব করার জন্য।
একাকি নিশির সাথে ভাব করে পাই শান্তির স্পর্শ
চাঁদ-নক্ষত্র কেমনে বসুন্ধরাকে ঢেকে দেয় নিদে,
পাগলপারা মন হয় তৃপ্ত নিস্তব্ধ নিশির সান্নিধ্যে।


কাউকে দেখাবার জন্য নয় -
জেগে থাকি সেই মানুষদের সম্মন্ধে জানার জন্য,
জেগে থাকি সেই হৃদয়হীনাদের উৎস সন্ধানের জন্য,
জেগে থাকি শোষিতের অন্তর্জ্বালা অনুভবের জন্য।
বৈচিত্রময় মানুষদের প্রায়শ্চিত্ত জেনে শিহরিয়া উঠি,
শুনিতে পাই হৃদয়হীনাদের মর্মন্তুদ বিষাদের কাব্য,
শোষিতের নিঃশ্বাসে যেন বহে প্রলয়ের ভবিতব্য।


কারো জন্য পথ চেয়ে নয় -
মনজিজ্ঞাসার উত্তরের জন্য আমায় জেগে থাকতে হয়,
নিশির সাথে দোস্তি করে অতিক্রান্ত হয় একেকটি রাত,
মনের প্রশ্নের উত্তর গুলি পেতে পেতে উঁকি দেয় প্রভাত।
উত্তরগুলি কখনও হারিয়ে যায় অজানালোকের নক্ষত্রপুঞ্জে
অগত্যা নিশিতে আর আমাতে ব্যাবধান হারায় তার প্রান্ত,
দিন যায় রাত আসে খুজে ফিরি প্রশ্নোত্তরের আদ্যপান্ত।


নিজকে বিলীন করার জন্য নয় -
নিজের অন্তরাকাশকে,নিসর্গের মহাকাশকে বিদীর্ণ করিয়া
ভবের অর্জিত লালিত্ব চিন্তনকে ঘূর্ণিপাকে ছিন্নভিন্ন করিয়া
প্রভুকে জিজ্ঞাসি-এ কোন ধরায় মোকে দিলে ফেলিয়া ?
নিত্য হৃদয়ের ক্রন্দন-মন্থন-ছেদন-দংশন ঘুরে আমিত্বে
মনুষ্যের ভবে মনুষ্যত্বের হত্যাকান্ড কেন চলে বিধিতে,
হে প্রভু হাতে রাখো হাত ধরণীতে মানবিক ফুল ফুটাতে।