ক্ষমতার দম্ভ প্রাচুর্য লিপ্সায়
ভোগ বিলাসের রঙধনুতে নিজকে ভাসায়।
ভুলে যায় ওরা দেশকে,
ধর্মের বাধ্য বাধকতাকে ডিঙ্গিয়ে তুলে ধরে
নিজ স্বার্থ চরিতার্থকে।


দেশের নির্যাসকে চুষে
ঢালে সাম্রাজ্যবাদী শোষকের দন্ত বিষে।
রক্তশূন্যতায় ভুগে জনতা,
অবসন্নতায় আক্রান্ত হয় দেহ-মন-চেতনা
ভাবলেশহীন রাষ্ট্রনেতা।


বর্বরতা চলে বছরের পর বছর
প্রতিবাদের বাধ্যবাধকতায় হাতে উঠে খঞ্চর।
পরক্ষণে হারিয়ে যায় গহ্বরে,
তৃপ্তির ঢেকুর তুলে পদলেহী কাঁদে মায়াকান্না
বলে- সহেনা মোর অন্তরে।


জনতা পড়ে বিভ্রান্তিতে
উচ্ছিষ্ট ভোগীরা হাড্ডি পেয়ে ঘুমায়  তৃপ্তিতে।
বিবেকবানরা হয় জাগ্রত,
জোট বাঁধে শোষিত বঞ্চিত নিষ্পেষিতের দল
জমাট বাঁধে ঝরা রক্ত।


কেঁপে উঠে ক্ষমতার মসনদ
কুষ্ঠরোগে মরে মীর জাফর, লুটায় দম্ভ ক্রোধ।  
নজীবুল্লাহ মরে ঝুলে খুটিতে,
ইঁদুরের সাথে গর্তে লুকিয়ে বর্বর সাদ্দাম বলে
আমি বীর,লজ্জা নেই চটিতে।


যার হুঙ্কারে কাঁপতো দেশ
সেই গাদ্দাফী টানা হেঁচড়ায় মরে শেষমেশ।
ক্ষমতা গতে-গদা গজব জীবনে,
হায়রে মসনদ পূজারীর দল,পরিনতিকে ভ্রমে
আর কতকাল হাটবি ত্রিভুবনে।