একদিন ছিলো সবই
ছিলো ঘর, বাড়ি, অর্থ-সম্পদ, সংসার সবই,
যেই মাতৃভূমির লাগি বিসর্জন দিয়েছে সব
মুক্তভূমিতে বঞ্চিত, তাকে ত্যাগীছে ভব।


বস্তিতে তার হয়েছে ঠাই
কি পরে, কি খায়, কারো কোন দায়িত্ব নাই,
কুলি, কখনো রিকসাচালক- শরীরের নাই যতন,
অসুখ হলে নিয়তি ভরসা, দুঃখ-কষ্ট অবর্ণন।


আকাঙ্ক্ষার হয়েছে মৃত্যু
নতুন পোশাক তার স্বপ্ন বিলাস, সে যে উদ্বাস্তু,
হাতড়িয়ে ফিরে দূর অতীত, চোখ-মুখ উদ্ভ্রান্ত,
বুকে উঠে ভূ-কম্পন, ভাবনাগুলো হয় দিকভ্রান্ত।


তবুও নেই তার আফসোস
দিতে পেরেছে মুক্ত দেশ, যদিও নিজে উপোস,
বলে-থাকুক ব্যস্ত নিজকে নিয়ে, থাকুক অর্থপ্রেম,
শুধু এতটুকু আশা মোর, জাগ্রত থাকুক দেশপ্রেম।


দেখি কোন এক সকালে
পড়ে আছে মরে-নিজ হস্তে গড়া চটের চাতালে,
গুমোট প্রকৃতির এই বুঝি উঠে ঝড় মেদেনী প্রান্তরে
অগ্নিঝরা মননে- দাফন করে নেয় নিজ অন্তরে।


শুনেছি হবে পোষ্টমর্টেম
সাংসদ-মন্ত্রী চামচারা দলে দলে আগুয়ান,
উপোসে মৃত মুক্তিযোদ্ধাকে
ওরা দেবে নাকি রাষ্ট্রীয় মরণোত্তর সম্মান!
হা-হা-হা-হা, কি অপরূপ দৃশ্য চয়ন!
মুখোসধারী ভন্ডদের ঘৃণ্য নর্তনে জুড়ায় নয়ন!।