আমি জন্ম নিয়েছি স্বাধীনতা উত্তর
দেখিনি পাকিস্তানী পতাকা
দেখিনি ভাষা আন্দোলন
পাইনি দেখিতে মুক্তি আন্দোলন।


আমি দেখিনি শোষণ শাসন
আমি দেখিনি লুটপাট-অত্যাচার
পাইনি দেখিতে রক্তে রাঙা রাজপথ।
কিভাবে দামাল ছেলেরা দিয়েছে বুকের রক্ত
কিভাবে হাট-ঘাট-মাঠ করেছে রক্তে রঞ্জিত।
সবুজ ঘাস মাটি আর বিল-খাল,
কিভাবে হয়েছে রক্তলাল।
আমি দেখিনি।


আমি দেখিনি সন্তানের রক্তে মায়ের
আর স্বামীর রক্তে স্ত্রীর আঁচল
কিভাবে ভেসেছে বন্যায়।


দেখিতে পাইনি আমি পিতৃ-মাতৃহারা
শিশুদের আর্তনাদ-
কিভাবে কেঁপেছে মাটি
কিভাবে কেঁদেছে আকাশ,
কিভাবে থমকে গিয়েছিলো বাতাস।


আমি জন্মের পর পেয়েছি
পতাকা আর স্বাধীনতা,
মুক্ত মাটি আর জনতা।


শুনেছি আমি মুক্তিযোদ্ধা বাবার মুখে
কি চেতনা-কামনা ছিলো সেই ত্যাগে
নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে
সহায় সম্পদের মায়া ছেড়ে,
চিন্তেছিলো স্বাধীনতাই অগ্রে।


আজ বাবার পরিনত বয়সে
কেন শুনতে হয় অতৃপ্ত হাহাকার,
কেন বাবা অস্ত্র ধরতে চায় আবার।


কেন বাবা বলে এমনটিতো দেখিতে চাইনি
যেখানে আবার পদদলিত হবে বাকস্বাধীনতা,
পদদলিত হবে ব্যাক্তি স্বাধীনতা
পদদলিত হবে সাম্যের মানবতাবাদ,
কেন ধনী দরিদ্রের এত বৈষম্যবাদ?
কেনইবা দেশপ্রেমের এত অভাব?।


আমি কি জবাব দিবো-
পোড় খাওয়া এই মানুষটিকে?
যেথায় নিত্যদিন দেখতে পাই
দলীয় স্বার্থবাদিতার যাতাকলে-
পিষ্ট হচ্ছে নিষ্ঠতা- চলছে কলুষতা,
দেশপ্রেম হারাচ্ছে তার জৌলসতা।


প্রশ্ন জেগে উঠে মনে-
বাবার হাতে গড়া এই দেশ,
কেন জ্বলে পুড়ে হবে নিঃশেষ,
অতৃপ্তি নিয়েই কি বাবা চলে যাবে শেষমেশ?
নাকি বাবা দেখে যেতে পারবে.
তার আকাঙ্ক্ষিত মুক্ত বাংলাদেশ।