নহে ঝিরি ঝিরি-নহে ফিরি ফিরি, অঝোরে ঝরে,
থরে থরে মুষলধারে।
আসেনি আষাঢ়-আসেনি শ্রাবণ, তবু হয় তমসা,
এ যেন ভরা বর্ষা।
ধুলিময় পানিশূন্য শুস্কতা, যেন হয়ে উঠে জীবন্ত,
যৌবন পায় বসন্ত।
কার্তিক-অগ্রহায়ণ, পৌষ-মাঘে, বৃষ্টির বিমুখতা,
আনে জীর্ণ মলিনতা।
পেরিয়ে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের কালবৈশাখীর হিংস্রতা,
আসে বসন্তের পূর্ণতা।
জানিনা, কোন অলিখিত চুক্তি বলে ওদের দোস্তি,
কাটে বসন্তের অস্বস্তি।
নহে ভাদ্র-আশ্বিনের উম্মাতাল নৃত্য, ঝড়-তুফান,
বহে প্রশান্তির ঐকতান।
দেখি রিমিঝিমি দু-নয়ন ভরিয়া, শুনি কান পাতিয়া,
পুরো মন ব্যাপীয়া।
ফাল্গুন-চৈত্রের লাবণ্যের সাথে তাল মিলিয়ে ঝরে,
ঝরে অঝোরে ঝরে।
ঝরে ফুলে-ফলে, ঝরে ভূতলে তামাম গা জুড়িয়া,
বসন্তের হাত ধরিয়া।
পাশাপাশি হাটে আর চুটিয়ে হাসে ঋতুরাজ বলিয়া।