স্বরূপোন্মেষণ
জাফর পাঠান


পথহারা পথিককে পথ দেখায় যে
সেই বারি বর্ষণ কেউ কি দেখিয়াছে ?
না জানিয়া-শুনিয়া, কেউ বলিবেনা,
তৎ ভুক্তভোগী বিনা।


বারি বর্ষণের স্রোতধারা বাঁধা পেয়ে
বাঁকে বাঁকে ভিন্নরূপ ধারায়
বহিছে শত বিভক্ত নালায়
বহিছে শিরা উপশিরায়।
কোথায় সেই অন্তর্যামী ?
বলিবে, অনুভবেছি আমি!


কখনও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে অপার,
কাউকে করে অঙ্গার।
কাউকে করে রম্য,
আবার কাউকে দেয় পূনর্জন্ম !।


অনুশোচনা-অনুতপ্ততার নূরানী তান
কখনও করে তপ্ত,
অনেককে করায় রপ্ত,
কাউকে বানিয়ে দেয় মানুষ
তিক্ততায় কেউ হয় অমানুষ!।


বারি বর্ষণ সৃষ্ট সেই বারিধিতে
যে জন দিয়াছে ডুব,
সে জন বুঝিবে
বর্ষণ মহাকাব্যের রূপ!।
ছাই ভস্ম হয়ে পূণর্জন্ম পেয়ে
কতেক বলে-
ভস্মে এত সুখ এত রূপ,
ভাবিনি কখনও আগে-
ভস্মে ফুটে ফুল অপরূপ!।


আকাশের কর্ণ বিদীর্ণ করিয়া
রহস্যে ঘেরা ধরণীর টুঁটি চাঁপিয়া ধরিয়া,
আকাশের সমস্ত মেঘকে মুষ্টিতে ভরিয়া
সে ঔদ্ধত্য চিত্তে বলিবে সমস্বরে-
ডুবিয়াছি মহাজগৎ বিন্দুতে-ধরিয়াছি সৃষ্টিরে,
উঁচুতে, উঁচুতে, অনেক উঁচুতে, নিগূঢ় স্তরে।