রাষ্ট্র কলুষিত আজি- রাষ্ট্রযন্ত্রের অসাধু দ্বারা
সমাজ কলুষিত আজি ভক্ষক সমাজপতি দ্বারা,
আজ মানুষ হয়েছে অনুভুতিশূন্য, ভুগছে চরম হীনমন্যতায়,
অবলী নিরন্ন মানুষ দায়গ্রস্ততায় করে হায়হায়।
যেন দেখার কেউ নেই, বুঝার কেউ নেই
প্রতিবাদীরা হারিয়ে ফেলেছে ব্যক্তিত্বের খেই,
যেন সার্কাস প্রদর্শনীর কুহকাচ্ছন্ন দর্শক-সাক্ষীগোপালের দল,
প্যারালাইস আক্রান্ত হয়ে হারিয়ে ফেলেছে বল।
ভোগে গা ভাসিয়ে আভিজাত্যের বড়াই!
হই অঙ্গার, পুড়ে ছারখার, যেন তপ্ত রক্তিম কড়াই,
মানুষ জানোয়ারদের নৃশংস হানায়, ভাসে জনপদ রক্ত বন্যায়,
কহিবে কে? থাম্ এবার, এতো বড় অন্যায়।
জন্মেছিস এ ধরায় ক্ষণজীবন নিয়ে
রক্তমাখা টাকা কামাস শোষিতের রক্ত ঝরিয়ে,
ভেবে দেখিসনা পঁচবি ধরার মাটিতে-জ্বলবি ধরার আগুনে
ফেলে যাবি সব, যা কামিয়েছিস ভরা ফাগুনে।
যেই টাকার নেশায় তুই হয়েছিস অমানুষ
ভাবিসনি কখনও, এরাও অনুভূতিশীল মানুষ।
যাকে তুই সোৎসাহে করেছিস হত্যা, সে ছিলো পরিবারের কর্তা,
একজনকে নয়, তুই করেছিস পুরো পরিবারকে হত্যা।
কালো টাকায় করেছিস নিজকে হৃষ্টপুষ্ট
প্রতিটি রক্তাণু বহিবে অভিশাপ, ধরিবে কুষ্ঠ।
নির্যাতিতের প্রতিটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস, রূপ নিবে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে,
আবির্ভূত হবে রুদ্ররূপে, বিনাশ করবে সব ভেঙে চুরে।
শত-সহস্র রক্তচোষা বাদুড়ের আস্ফালন
বৃদ্ধিছে নিত্য, বৃদ্ধিছে মানুষে মানুষে মমত্ববোধের স্খলন।
দলিতের বিগলিত ক্রন্দনের সাথে বৃষ্টির অবিরত মাখামাখি,
অন্ধ আর বধির সবাই-ব্যর্থ তব ডাকাডাকি।
কি করবো আমি? কি করার আছে ধ্বংসতে
দানবরূপী শয়তানদের বিচরণ যে সর্ব উৎসতে।
হাতে নেই আমার রাষ্ট্রক্ষমতা, হাতে নেই আইন আদালত,
কিভাবে করি চূর্ণ-বিচূর্ণ, রাক্ষসদের করি পদানত?
আছে মন, আছে প্রাণ, আছে ইচ্ছাশক্তি,
ঢাল নেই তলোয়ার নেই, রসদের নেই অন্তর্ভূক্তি।
লক্ষ কোটি কর্বূরের মাথায় শূন্য হস্তে কিভাবে হানি আঘাত?
অস্ত্রহীন আমি, কলমসহ আমার যে মাত্র তিনটি হাত।
বজ্র হাঁকে সঞ্চিবো লক্ষ প্রাণ-যদিও নিরস্ত্র
করিতে চাই সমূলে নির্বংশ-হানিয়া কলমাস্ত্র।
করিতে চাই ধ্বংস-বিধ্বস্ত, রাখিতে চাইনা কোন জাতকুল
কর্বূরের নির্বাণে, সহাস্য বদনে হবে সবাই উৎফুল।
ক্লিষ্টে ফুটাতে যদি না পারি পরিতৃপ্তির হাসি
চিৎকারে সৃষ্টিকর্তাকে বলবো-শোষিতকে ভালোবাসি।
যুদ্ধ? হ্যা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো যুগের পর যুগ, দিবার পর নিশি,
যদি না পারি-ক্ষমা করে দিও মোরে, হে ধরণীবাসী।