কেমন আছো?
এক বুক সাহস সঞ্চয় করে
চিঠি লিখি আজ।
কত দিন ভেবেছি তোমাকে একটা চিঠি দেবো
যে চিঠি হবে গোলাপের পাপড়ি
স্নিগ্ধ মনোহর।


চিঠির খাম টি খোলার আগে
তোমার কুসুম গরম উমে
বুকের মাঝে কিছুখন
ধরে রেখে তুমি .....
গোলাপের গন্ধ নিও কেমন।


কতদিন ভেবেছি লিখবো একটা চিঠি
যখন পড়বে অই অনাবিল অমলিন চিঠি
তোমার শিহরিত আংগুল
উস্ন কম্পিত বুক
তোমার ভেতর সেই যে আলোড়ন.....


ঘন বরসায় টিনের চালে যেমন
বৃস্টির সুর মূর্ছনা
কুয়াশার চাদরে ঢাকা অদ্ভুত গ্রামের সকাল
বাদল দিনের ঝড়ো হাওয়ায় পুকুর পাড়ের ওই গাছ


কচি আম পাতায় জমে থাকা টলমলে শিশির বিন্দু
কেমন বিস্তৃত হলুদ সরিসা বাগান।


দূরে দেখা পাহাড়ি ঢাল সবুজ বন পাখি ।


মনের করোডরে কড়া নাড়ে
বলে, এইযে, এসেছি আমি, আমি এসেছি।


কোন এক উচ্চ মননে
তোমার ভেতরের উথাল পাতাল আলোড়ন
তার কাছে সব কিছু বড় তুচ্ছ
কেমন মলিন সব।


কত দিন ভেবেছি তোমাকে একটা  চিঠি দেবো


তবু এতোদিনেও কেনো হয় নি লেখা
কেনো দেখা মেলেনি কোন প্রস্ফুটিত ফুল?


হয়তো এই ভেবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি
তীব্র অভিমানে কলম ছুড়ে ফেলে দিয়ে
চিঠি লেখা হয় নি আর।


যদি অবজ্ঞা ভরে ছুড়ে ফেলে দাও খাম সহ ওই চিঠি
যে চিঠির প্রত্যাশা উস্ন বুকের মাঝে
তার যদি হয় অবস্থান কোন এক আস্তাকুরে।


যে চিঠি আমাকে কেমন.....
তোমার সামনে বসায় হাটু গেড়ে, জড়িয়ে ধরে বলি তোমায়
ভালোবাসি, বড় ভালোবাসি।
তখন ফুটে কত শত হাসনা হেনা
কত শত রক্ত জবা, বাগানে , গহীন অরন্যে
কত সুগন্ধি নাম না জানা ফুল।


বড় ভয় হয়
যদি হয় ওই চিঠির অপমানিত পরিনাম
হয়ে যাবো আমি আরো তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর।


তাই তো হয়নি এতো দিনেও চিঠি লেখা আর।


তবু আজ কেমন সাহস করে
লিখে ফেললাম এই চিঠি আমার।
ভালোবাসার নিমন্ত্রন।


উস্নতা জড়ানো কিছু শব্দের মালা
তোমার মনের  গোপন অন্তপুরে
কোমল শরীরে করো আমাকে আমন্ত্রন।