ঈশ্বর থাকলে তার অঙ্গুলি হেলনে নাচতে হতো বাঁদর নাচন।
ঈশ্বরের বাঁদরামিতে অতিষ্ঠ হয়ে যেত বেঁচেবর্তে থাকা।
কে কোথায় তাকে পটিয়ে ফেলে করে দিত আমাদের সর্বনাশ!
আমরাও তার চাটুকার হতে হতে, মাথা নিচু করে থাকতে থাকতে মাথা তুলতেই ভুলে যেতাম।
ঈশ্বর না থাকার জন্যই জীবন এত সুন্দর, এত সাবলীল, এত নিয়মিত।
ঈশ্বর না থাকার জন্যই দুইয়ে দুইয়ে চার হয়,জল পড়ে পাতা নড়ে,পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে।
ঈশ্বর না থাকার জন্যই আলাদিনের দৈত্য বা ভূতেরা এসে ঘাড় মটকে দিতে পারে না।
ঈশ্বর না থাকার জন্যই গরুরা শুধু গল্পেই গাছে ওঠে।
ঈশ্বর না থাকার জন্যই আকাশকুসুম বা ঘোড়ার ডিম নেই।
ঈশ্বর না থাকার জন্যই তন্ত্র-মন্ত্র, ঝাড়ফুঁক তুকতাক বা বশিকরণে কাজ হয় না।
ঈশ্বর না থাকার জন্যই কেউ পাঁচশ বছর বাঁচে না।ঈশ্বর না থাকার জন্যই আমরা আজও বেঁচে আছি।