তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়,
এক সুউচ্চ মিনার প্রতিবাদের।
ঘটনা সেই উনিশশ চুয়ান্ন সন,
এই অঞ্চলের জ্ঞানের মশাল,
আদিবাসী এক নীতিবান শিক্ষাগুরু,
ছিলেন প্রধান, পাশের এক বিদ্যালয়ের।
আপসহীন, ঐ শিক্ষা গুরুর নীতির সাথে,
দেখা দিল মতের অমিল, প্রশাসনের।
প্রশাসনের রক্ত চক্ষুও ব্যার্থ হল,
আপস হতে, তাদের সাথে।
শেষাবধি খড়গ এল খামে ভরে,
পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির
কলমের এক খুচাতেই ছিন্ন হল,
এতদিনের চাকুরী তাহার স্কুল হতে।
প্রতিবাদ ছাড়াই ফিরে এল শিক্ষাগুরু,
নীরবভাবে, উন্নত শিরে বাড়ির পথে।
শিক্ষকের এ অপমান, মেনে নেইনি,
অভিভাবক আর এলাকাবাসী।
পরের দিনই বসল তারা সবাই মিলে,
বিরল এক প্রতিবাদ সভায়, সিদ্ধান্ত হল,
ব্যতিক্রমধর্মী, কালজয়ী কিছু করার।
কথা যেমন, কাজও তেমন,
পক্ষকালেই গড়ল তারা অপুর্ব এক
শন ও বাঁশের লম্বা চাতাল,
চাতালতো নয়ই যেন মনে হয়,
এক অনির্বান প্রতিবা্দী মিনার।
পরের দিনেই গেল সব জনতা,
সেই শিক্ষা গুরুর নিজ আলয়ে,
তাকে বাধ্য করলো আসতে সেথায়।
পরে তাকে প্রধান করেই শুরু হলো,
প্রতিবাদী মিনারসম এক নব-শিক্ষালয়ের।
নতুন করে জলে উঠল শিক্ষার আলো্,
ধীরে ধীরে জালিয়ে দিল জ্ঞানের আলো,
এলাকার সব বঞ্চিত মানুষের ঘরে ঘরে।
কালের চক্রে সেই শিক্ষালয়ই আজকে হলো,
তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়,
এক সুউচ্চ মিনার প্রতিবাদের।