মো. আব্দুস সামাদ


দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর,
প্রকৃতি ফিরে পেলো আজ,
তার রূপ, স্বাভাবিক ধরণীতল।


সারাদিন ধরে আষাঢে বৃষ্টি ঝড়ছেই,
তার জোয়ার গিয়ে লাগছে কৃষাণ কৃষাণীর বুকে,
তাই কৃষকের অংগে ফিরে এলো তৃপ্তির ঝরঝরে হাস্য।


বাতায়ন খোলে দেখছিতো দেখছিই,
অপলক নেত্রে বৃষ্টির সৃষ্ট নির্মল উল্লাস,
চারি দিকে শুরগোল, শিরশির বন্যায় সয়লাব।


হঠাৎ আকাশে বিদ্যুতের উজ্জ্বল দ্বীপ্তি,
মেঘে মেঘে নাকি ঘর্ষণ, ভয় লাগা প্রচন্ড শব্দ,
গরু, ভেড়া, ছাগল  সব মাঠছাড়া, মানুষেরা সাবধানী।


বন্যার জলে মাছগুলো অস্থির,
আবাসন ছেড়ে তাই চারিদিকে ছুটছে,
সুযোগ পেয়ে শিকারীরা জাল পেতে মাছ ধরছে।


বাতাসের তোরে চারিদিকে মর্মর শব্দ,
সু, সু আওয়াজে, চারিদিকে সব তালগোল,
ঘরের কোনে বাচ্ছা শিশুরা  ভয়ে থরথর কাঁপছে।


বন্ধ চারিদিকে পাখির শোরগোল,
মাথা গুজে বসে আছে গাছের মগডালে,
বাড়ির আঙ্গিনায়, ঝোপঝাড়ে কিংবা ভাঙ্গা ইমারতে।


বাহিরে বন্ধ মানুষের স্বাভাবিক কর্ম,
নিরব নিস্তব্দ পথ ঘাট, হাট বাজার, বহিরাঙ্গন,
ঘরে বসে কৃষাণ, কৃষাণী বুনছে আগামীর সোনালী স্বপ্ন।


লাঙ্গলের কর্ষণে মাঠ হবে উর্বর,
চারার সাজনে মাঠ হবে  সবুজাভ সুন্দর,
সোনালী ফসলে ভরে যাবে কৃষকের অঙ্গন।।