(উৎসর্গঃ প্রয়াত আহমদ ছফা এবং ডঃ হুমায়ুন আজাদ শ্রদ্ধাস্পদেষু)  
হঠাৎ পালটে যাবার জন্য একগুচ্ছ সামাজিক কারণ লাগে,
বিশ্বাসের বৃত্তে নিজেকে সুস্থির রাখার বিষয়টিই এখন গৌণ হয়ে দাঁড়িয়েছে,
অলৌকিকতার কাল্পনিক যাত্রায় আমাদের মস্তিষ্ক হারায় ইন্দ্রিয়গোচর সব ছবি,
পুঁথি প্রাচীন “বৌদ্ধ জাতক”, “মঙ্গল কাব্য” অথবা “শ্রীচৈতন্য চরণামৃত” আমাদের তাড়িয়ে নিয়ে যায়
গভীর এক রূপকথার রাজ্যে,
নিদ্রা পরবর্তী জাগরণেই যা কেবল আমাদের অনুভূত হয়,
প্রাসঙ্গিকতা আমাকে আনুবাদ করতে শেখায় জাদুবিদ্যার ভাষা,
আমি সুখী হই পাঠোদ্ধারে,
শতকোটি ঘর নিয়ে ভূগোল নামের যে বাড়িটিতে আমি থাকি,
তারও একটি কৃষ্ণনাভ ছায়া আলোক বিরোধী পথে হাঁটে,
বিশাল জলরাশির স্বচ্ছ গ্লাসে সেও নিজেকে দেখে স্বভাবতই,
আমার উপলব্ধি বাজেয়াপ্ত করতে পারে যে চিত্রকর,
তার কোন প্রদর্শনীতে আমি হাঁটবো না।