যতটা না বিস্মৃতি
তার চেয়েও বেশি ছিলো ঘোর-
কেমন যেন কষ্ট কষ্ট ভাব গুলো
নিথর আছন্নতায়
বুকের ভেতরটা বড্ড ফাঁকা করে রাখতো।


ঐদিকে কোন পাত্তা পাইনি-
আমার প্রতারক মনটা আড়ালে অস্থিরতায়
একপলক সত্যি দেখতে চেয়েছিলো,
চেয়েছিলো এক পলক আকাশ, নীল-
বোধহীন বাতাসে পাপ-দূঃখের কথা
ইচ্ছেমত উড়াতে চেয়েছিলো, ঘোরে।
মনে মনে স্বর্গ ভাঙ্গার উৎসবে ছদ্মবেশে,
রোদ আর রক্তের পরকীয়া দিনাবসানে-মন
বহু নিচে নেমে আমাকে টেনে নামায়
লাশ আর রক্তের স্রোতে, জঙ্গলে কাঁদায়,
ঘূর্ণির ধূলোয়, বিজয় সঙ্গীতে, নির্জন রাস্তায়-
প্রতিরোধহীন অপরাধী করে।


তারপর,
মন অরণ্যের প্রতিটি গাছ,
গানের খাতা, রাস্তার ধুলো, হলুদ খাম-
মুক্তির জন্য মানুষ হয়েছিলো একসাথে।
ভারী বুটের তলায় বুক পেতে
ওরা সমস্বরে চিৎকার করে বলেছিলো,
মুক্তি চাই, মুক্তি…


বাতাসে উপহাস,
আমার হয়তো কথা ছিলো- দিতে
অ্যাশট্রেতে ছাইয়ের বদলে বারুদ
হাতে সিগারেটের বদলে রাইফেল,
কান বন্ধ তবু গাঢ় শব্দে স্প্লিন্টার
উৎকীর্ণ নরমাংসের তৃষ্ণা-দৃষ্টি পায়ের শেকলে।


আমি পারিনি-
আমার ক্লান্ত ঘুমের ভান রক্তে রক্তে
নিঃশব্দে আমি দাঁড়িয়ে থাকি
মনের আশ-পাশে ভয়ে,
পায়ের তলায় ভিজে ঘাসে
মৃত্যুর কাছাকাছি-অথচ বেঁচে।