কেন যেন মনে হয় রয়ে যাই সূদূরের এই দেশে, হাজার ছয়েক ফুট উঁচুতে ৩ ডিগ্ৰী সেলসিয়াস-এ।
ভোরের সূর্য ঢাকা থাকে কালো অন্ধকার কুয়াশাতে। নিদ্রাভঙ্গে তবু প্রণাম করি সূর্য দেবতাকে।
ধীরে ধীরে মলয় সমীরণ বয়ে যায় মৃদুমন্দ গতিতে, ছুঁয়ে যায় শরীর, ছুঁয়ে যায় মন যেন স্বর্গীয় অনুভবে।
আকাশ আজ বড্ড নীল, কিঞ্চিৎ সাদা মেঘেরও দেখা নেই। দ্বিতীয় প্রহরে তেজোদীপ্ত দিনমণি প্রকাশে উজ্জ্বল আলোকে, রোদ্দুরের ঝিলমিল আলোর কণাগুলো জড়িয়ে ধরে আমায় ফুলে ফলে ভরা 'তিমি হাউস'-এর অঙ্গণে।
নিস্তব্ধতায় নীরবে নির্জনে শুধু পায়চারি, সূর্যের বিচ্ছুরিত আলোক মালায় যেন ভেসে বেড়াই একাকী।
হঠাৎ করে দেখি ঈশ্বর পাঠিয়ে দিলেন দু'টি নিস্পাপ শিশু, খেলা করে সাইকেলে চড়ে, বসে বসে আমি দেখি অবাক বিস্ময়ে।
তুমি এখনও এলে না আমার ডাকে সাড়া দিয়ে ঈশ্বরের এই দেশে, বসে বসে শুধু ভাবি বিরহী মনে।