হায়দরাবাদে ভোরের সূর্য আসে আকাশে
খানিক দেরিতে, দক্ষিণ নগরী আড়মোড়া ভাঙ্গে।


সূর্যপ্রণাম সেরে হাঁটতে যাওয়া সংলগ্নিত উদ্যানে
ন্যাড়ামুন্ডী গাছগুলো দাঁড়িয়ে আকাশপানে চেয়ে।


ছোট্ট একটি জলাশয়
চৈত্রের রাগী সূর্যের তেজে
উবে গেছে বেশ অর্ধেক জল
তৃষিত একটি ময়ূর পেখমে
উদক আহ্বানে।


গুরুগম্ভীর রবে নীলসাদা জামা পরে
মেঘবালিকারা উড়ে চলে গাঙচিলের পাশে।


সুস্থতা সচেতন সবাই গা সেঁকে নিচ্ছে
সকালবেলার নাতিশীতোষ্ণ হাওয়াতে
তরতরিয়ে হেঁটে যাওয়া স্বেদক্ষরণে।


গরম গরম রিং বড়া, ইডলি দোসা
দিনের প্রথম উদরের গ্ৰাস, ভাঙ্গে রাতের উপবাস
পুষ্টি ভরা তুষ্টি মনে মননে।


রণভেরীর আওয়াজ ভেসে আসে বাতাসে
বিকেলে হুসেইন সাগরে বুদ্ধের শরণে
বিধ্বস্ত মারিউপোল কাঁদে গণকবরে
ধবধবে সাদা কবুতর একটি উড়ে যায়
উত্তর পশ্চিম সীমান্তে নিঃসীম শূন্যে।


হায়দারের আবাদে এখন তথ্যপ্রযুক্তির সোনা ফলে,
হাই-টেক সিটি সারারাত জাগে।


আকাশে বাঁকা চাঁদ। জ্যোৎস্নার দেখা নেই।
কাঁচের দেয়াল থেকে ঝলমলে আলো
ছড়িয়ে পড়ে চারিধারে।


রজনী গভীর হয়। গোলকুন্ডা চারমিনার ঘুমিয়ে পড়ে
ডিনার টেবিলে দম বিরিয়ানি কাবাব টিক্বা আসে।


তারপর ঘুমের দেশে
পরদিন ভোরসকালে চন্ডীগড়ে।