মুখুজ্জে মশাই, কেমন আছেন?
আর বলবেন না,
আমার দিন তো ফুরিয়ে এলো
৩১ শে মার্চ আমার বিদায়ের দিন।
ঐদিন আমার সহকর্মী শ্রাবণী
রবিঠাকুরের গান গাইবে,
" এই কথাটি মনে রেখো
তোমাদের এই হাসিখেলায়
আমি যে গান গেয়েছিলেম----"
বুঝলেন, অনেক চেষ্টা করলাম
প্রোমশনটা আর হলো না
বড়কর্তার মোসাহেবি করেও হলো না
ভীষণ ঘাঘু লোক! কাজটা ঠিক উঠিয়ে নেয়।
ইউনিয়নের দাদাদের তাতিয়েও কিছু হলো না
সবাই এখন সমঝোতায় বিশ্বাসী
তাছাড়া আমার উচ্চাকাঙ্কা নিয়ে
কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।
আসলে মা বাবা বয়সের ভারে ন্যুব্জ
অসুস্থতা লেগেই আছে
ডাক্তার, ঔষধের খরচায় প্রাণান্ত।
ভাবি পেনশন দিয়ে কি করে চলবে
যদিও অতি অধুনা পেনশন বেশ বেড়েছে।
অবসরের দিন বিদায়ী সভা হবে
সহকর্মীরা ভালোমন্দে আমার সম্বন্ধে বলবে
তারপর ফুলের তোড়া, মিষ্টির প্যাকেট
আর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্ৰেচুয়িটির চেক নিয়ে
ট্যাক্সি করে বাড়ি।
ভাবছি, নিবিড় শূন্যতা যে পিছু নেবে
তাকে তাড়াই কি করে?