চৈত্রের রোদ্দুর বাইরে বেশ ঝাঁঝালো।
হালকা হাওয়া বইছে ঝুল-বারান্দায়।
তুলসী তরুর পল্লবমঞ্জরী দুলছে পুলকে।


পাখিদের কিচিরমিচির গল্প ভোর হতেই।
নীলসবুজহলুদ বিহগ-বিহগীরা ভীষণ সুন্দর।
বন্দী জীবনযাপন।


কলহকলতানকলরবে মুখরিত সকালবেলা।


আজ রোববার, ছুটির দিন।


পাখিরা বেরিয়ে পড়ল মুক্তির আনন্দে।
আকাশে উড়ে উড়ে বেড়াবে
বৃক্ষশাখে ফুরফুরে সমীরণ,
আড্ডা হবে সখাসখি সমীপে।
ফল লতাপাতা গুল্ম দিয়ে ভূরিভোজ।
হর্ষনির্ঝর বইবে তনুমনে শিরা উপশিরা ধমনীতে।


পথে যেতে যেতে লাল শিমূলপলাশকৃষ্ণচৃড়ার
দেখা নেই। হোগলা আর উলুবনে ভরা হাওড়ার উলুবেড়িয়া। বসন্ত কি চলে গেল!
ঘূর্ণীঝড়ের আভাস আকাশে বাতাসে।
মাতাল কালবৈশাখী কি নেই বেশিদূরে?


উলুবেড়িয়ার একটি সুন্দর সবুজ বাগানবাড়ি।
আমন্ত্রিত আজ শকুন্তরা। মৃদুমন্দ সুখপবন।
আমজামকাঁঠাল দ্রুমে দ্রুমে ভরা কানন।
কিংশুক শাখে পাখপাখালিরা কূজনকাকলিতে মগ্নমত্ত অলসদুপুরে। পুকুরের নীলজলে মৎস্য সঞ্চরণশীল। স্ফটিক-স্বচ্ছ সলিলে অবলোকন।
হিয়াভরা উৎফুল্লতা। মন যেন আজ আহ্লাদে আটখানা।


বিকেলে গড়িয়াহাট বাজার। চৈত্র সেলে জমজমাট।
গোধূলিবেলায় পত্রীরা ফিরে এল নীড়ে
'ব্যাগভর্তি চৈত্র' নিয়ে।