সময়ের সিঁড়ি বেয়ে তর তর করে নেমে যাচ্ছি,
ফেলে আসা দিনগুলি বেশ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।


শীতের মিষ্টি রোদ্দুরে গা তাতিয়ে নিচ্ছে
পাহাড়ের সবুজ। একটানা সুরে একটি অচিন
পাখি ডেকে যাচ্ছে কদম গাছের ডালে।
কোটালের জলে গ্ৰাম ভেসে যাচ্ছে, পরপর
ছবিগুলি ভেসে উঠছে স্মৃতি সরণিতে।


হঠাৎ ছোটবেলার গ্ৰামগঞ্জ ভেসে উঠে স্বপ্নে।
করিমগঞ্জে বিদ‍্যালয় থেকে মহাবিদ্যালয়,
যৌবনের পদধ্বনি স্পষ্ট শরীর ও মনে। এবার
এই মহাবিদ্যালয়ের পচাত্তর বছর পূর্তি উৎসব।


গাছ ধীরে ধীরে বড় হয়।
কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটে, সৌরভ ছড়ায় চারিপাশে,
আকৃষ্ট হয় অনেকেই।


পরিচয় হয় কত অজানা জনের সঙ্গে;
বন্ধুবান্ধব, মনহৃদয়াত্মার মেলবন্ধন।
একেঅপরকে আপন করে নেয় আদর
আপ‍্যায়নে, মায়ার বন্ধন!


সময় নিত্য চলমান, জীবননদী নিরবধি বহমান।
সন্ধ‍্যা শেষে রাত আসে সন্তর্পণে, সময়ে অসময়ে
চলে যায় অনেকেই না বলে।


আজ রাতে অমবস‍্যার আঁধারে খসে পড়ে একটি
তারা আমার প্রিয় আকাশ থেকে, আজাদ হয়ে
সাগরের জলে মিশে যায় মন্দাকিনীস্রোতে।


ব‍্যথা দিয়ে দিদি চলে গেল পূর্বক্ষণ
ছিল অতি আপনজন, মানুষ
ফুল আর গান ভালবাসত ভীষণ।