আজ
দশ দশ কুড়ি কুড়ি
মা আসছে আহ্বান করি।
আজ
ইংরেজি দশমমাসের দশম দিন
বাংলা ষষ্টমাসের চব্বিশতম দিন
শনি ঠাকুরের পুজোর দিন।
আজ
কৃষ্ণপক্ষের তিথি অষ্টমী
সন্ধ্যার পর হবে তিথি নবমী।
আজ
দশ দশ কুড়ি কুড়ি
সাজছে সব বারোয়ারী
দুর্গা আসবে বাপের বাড়ী
প্যান্ডেল হবে খোলা আড়াআড়ি।
মৃন্ময়ী মা দুর্গা
সঙ্গে নিয়ে পুত্রকন্যা
সেজে উঠছেন রণংদেহী
দেখবেন তো যান কুমোরটুলি।
পাড়ায় পাড়ায় খুঁটিপুজো
হবে যে সর্বজনীন দুর্গাপুজো।
গড়ে উঠছে সুসজ্জিত মাতৃমন্ডপ
ব্যস্ত সব শিল্পী কারিগর।
মা আসছেন সপরিবারে
সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী আর কার্তিক, গণেশ।
শুক্লপক্ষের ষষ্টী তিথির সন্ধ্যায়
সবাই মেতে উঠবে মায়ের বোধন ভাবনায়।
মা হবেন মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী
মঙ্গলবারি বর্ষিত হবে, মা যে কল্যাণময়ী।
সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী তিথি
ষোড়শোপচারে মায়ের পুজো আরতি
হবে তিনদিন তিনরাত্রি।
মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকার স্নান ও স্থাপন
মহাষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে
সন্ধিপুজোর আয়োজন।
মহানবমীতে কুমারী পুজো
বিশেষ শ্রদ্ধায় হবে যাপন।
মায়ের তেজরশ্মি ও আশীর্বাদের কল্যাণে
নিজের মনের গভীরের অসুরকে
সবাই বধিবে ছিন্ন ভিন্ন করে চিরতরে,
উদিবে শুভ ভাবনার তরঙ্গ মনে মনে।
সবাই পাবে মায়ের দর্শন
বাড়িতে বসে দূরদর্শন
নতুবা মন্ডপে মন্ডপে সম্মুখদর্শন।
মনের আয়নায় মায়ের ছবি
ভাসবে চিরক্ষণ,
প্রতিটি ক্ষণ হবে শুভক্ষণ।
আজ
দশ দশ কুড়ি কুড়ি
হয়না যেন জনস্রোতের বাড়াবাড়ি
বিনাশ হয়নি এখনো করোনা অতিমারি
মানতে হবে মাস্ক ও দূরত্বের কড়াকড়ি।
মায়ের প্রসাদ পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি
পুষ্পাঞ্জলি হয়ে যাবে ডিজিটেলি।
দশমী তিথিতে বিদায়ের বিষাদসুর
বেজে ওঠে সবার মনে করুণব্যথাসুর।
বিসর্জনের পুজো শেষে
সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে
বঙ্গ ললনা, রমণী সবাই মিলে।
বিসর্জনান্তে অপরাজিতা গাছ পূজা
হাতে হাতে অপরাজিতা লতা বাঁধা।
বিজয়া দশমীর মিলন মেলায়
সবাই মাতে আনন্দ ভেলায়
অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির বিজয় বেলায়।
পরিশেষে
হে দেবী! তুমি সর্বমঙ্গলা
তুমি শিবের স্ত্রী, সর্বকার্যসাধিকা
তুমি শরণযোগ্যা, গৌরবর্ণা গৌরী
তুমি বিষ্ণুর বোন নারায়ণী, ত্রিনয়নী।
তোমায় শতকোটি প্রণাম
বিশ্বসংসার থাকে যেন
শান্তি ও প্রেমে পরিপূর্ণ অম্লান।