নীলপাখীর ডানায় উড়ে কলকাতা থেকে শিলচরে
মনময়ূরী পেখম মেলেছে আজ পুলকিত চিত্তে।


বায়ুবন্দরপ্রান্ত শুনশান
বিষাদের ছায়া ঘনীভূত বাতাসে
শব্দরা হারিয়ে গেছে বিপন্ন বিস্ময়ে
নীরবতা জেগে উঠেছে কঠোর মাস্কীয় অনুশাসনে।


গুটিকয়েক বায়ুযান ছড়িয়ে ছিটিয়ে বন্দরে
সূর্যের তেজী কিরণে তাপিত একা একা
অন্দরে বরফের স্নিগ্ধঘন শীতলতা।


হাওয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অদৃশ্য অতিক্ষুদ্র
গুপ্তঘাতকেরা/উন্নত হোমো স‍্যাপিয়েন্সরা
বড্ড অসহায়, দিশেহারা।


সুরক্ষাসজ্জায় সেজে নীলবাসে চড়ে বসি
নীলপাখী ডানা মেলে উড়ে যায় অন্তরীক্ষে
কংক্রিটের কানন ছুঁয়ে পাড়ি সাদা মেঘের দেশে।


সুললিত নারী কন্ঠের ঘোষণা ------
নীলিমায় বিচরণের সময় একঘন্টা
কোনো খাবারের আয়োজন বিনা।


শূন্যে ভাসমান, বাতায়নে চেয়ে জাগে গান----
"আকাশভরা সূর্যতারা বিশ্বভরা প্রাণ......"


ধীরে ধীরে নীলপাখী ডানা গুটিয়ে আনে
নভোলোকের নিঃসীম শূন্যতা সমাপন
জনপদে চা'পাতার মাতোয়ারা গন্ধ
বৈশাখের তপ্ত হাওয়া, আপন ঘরে ফেরা।


গুপ্তঘাতকের সন্ধানে শাসনযন্ত্র ভীষণ সক্রিয়
শ্বাসযন্ত্র তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখা হলো
শালগঙ্গার টিকল অনুসন্ধান কেন্দ্রে।


জানিয়ে রাখি, আমাদের শ্বাসযন্ত্রে গুপ্তঘাতকের
সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।