মাতৃজঠরে প্রাণশক্তির আগমনে
জন্ম হয় মানব বা মানবীর।


জন্মিলে মরিতে হবে
কেউ কোথাও অমর নহে
এই বিশ্বলোকে।


আত্মা হলো মানবদেহে
সেই চালিকাশক্তি বা প্রাণশক্তি।


জন্ম-মৃত্যুর এই চক্র চলে নিরবধি,
মানবজীবনে আছে দুঃখ,দুর্দশা,দুর্গতি।


কঠোপনিষদে বর্ণিত আছে -


অমোঘ মৃত্যুর রহস‍্য জানতে ঋষিপুত্র
নচিকেতা যমরাজের দ্বারে উপস্থিত।


যমরাজ বোঝালেন নচিকেতাকে -
আত্মা বা পরমব্রহ্ম আকারবিহীন শক্তিস্বরূপা।


আত্মা আমাদের ইন্দ্রিয়অশ্বে আরোহী।
মানবজীবনে বাসনা, কামনা, লালসার চোরাপথে
ইন্দ্রিয় ধাবিত হয় আত্মাকে নিয়ে -
তাই মানবজীবনে এত ভোগান্তি।


আত্মা মানবশরীর থেকে চিরতরে পৃথক
না হলে, চলবে এই জন্ম-মৃত্যুর নিরন্তর
আবর্তনের খেলা।


কঠোর সাধনায় ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে
নচিকেতা হলেন পরমজ্ঞানী, মৃত‍্যুঞ্জয়ী।


জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে বেরিয়ে,
সবাই যদি বিরাজ করে ব্রহ্মলোকে শক্তিরূপে,
মানবপ্রজাতি যে হারিয়ে যাবে
এই সুন্দর সৃষ্টিপ্রকল্প থেকে।


তাই, জন্ম-মৃত্যুর এই আবর্তনের খেলা
চলতে থাক অনন্তকাল।
মানব প্রজাতি আরো উন্নত, সুসভ্য হোক -
হিংসা,বিদ্বেষবিহীন দয়া,মায়া, ভালোবাসায়।


আর মানবসভ্যতা হোক মানবতার পরাকাষ্ঠা!