তিনশতাব্দকালেরও পূর্বের কথা।
শুনি বঙ্গদেশে সুতানুটি, গোবিন্দপুর, কলকাতা
নামে পাশাপাশি তিনটি পল্লীগ্ৰামের উত্তরণের
গল্পগাথা।


মাটির সোঁদাগন্ধভরা
শ‍্যামলিমায় ঢাকা মেদুর পথপ্রান্তর।
খোলা আকাশতলে
অনঘ মারুতের হিমেল স্পর্শ অনুভব
নির্ভেজাল দেহাতি সরল জীবনযাপন।


নদীসমুদ্র, পাহাড়পর্বত ডিঙ্গিয়ে
এসেছিল অনেকে সময়ে সময়ে
মোগল, পর্তুগিজ, ফরাসি, ইংরেজ;
ইতিহাস বলে।


পলাশী প্রান্তরে উড়ে পাশ্চাত্যের পতাকা
ভেসে আসে উন্নত সমাজ বিজ্ঞান বার্তা।


বহুর আগমন সাধনে নগরের জন্ম/
বাণিজ্যশিল্প, শিক্ষাসংস্কৃতি উৎকর্ষতা কল্লোলিত/
নবজাগরণের হিল্লোল/ তিলে তিলে তিলোত্তমা/
আনন্দনগরী কলকাতা।


১৫ অগাষ্ট, ১৯৪৭
তেরঙ্গা পতাকা পতপত উড্ডীন
বঙ্গভঙ্গ, স্বপ্নভঙ্গ!
জনজোয়ার, জনপ্লাবণ।


কল্লোলিনী কলকাতা।


আজ উন্নয়নের জোয়ার
রাতের গভীর আঁধারে
নিশ্চিহ্ন হয় সবুজ প্রান্তর
আকাশছোঁয়া অগণিত অট্টালিকা
আবাসিকেরা হেঁটে বেড়ায় শূন্যগগন।


স্কাইস্ক্রেপারের উপর স্কাইওয়াক
সংবাদপত্রের পাতাজুড়ে বিশাল বিজ্ঞাপন।


নগরজুড়ে উড়ালপুলের নেটওয়ার্ক
সারি সারি গাড়ি ঘুরে বেড়ায় দিবারাত্রি
কালোধোঁয়ায় ভরে যায় কলকাতার ফুসফুস।


আর সর্বনাশা কংক্রিটের জঙ্গল নয়
আর উষ্ণবায়ু সম্পৃক্ত রুদ্ধশ্বাস নয়।


চাই একটুকু সবুজ বিপ্লব, কলকাতা
আমাদের ভালোবাসার কলকাতা।