কারখানায় আলো জ্বলছে,
উৎপাদনের চাকা ঘোরছে,
শ্রমিকরা শ্রমদানে শশব‍্যস্ত,
মালিক সর্বক্ষণ নজরদারিতে অভ‍্যস্থ।


মালিকের পুঁজি, শ্রমিকের রুজি
চলমান থাকে দেশের আর্থিক প্রগতি।


শ্রমিকের ভেদ আছে বিভিন্ন,
তাই ওদের অবস্থা নয় অভিন্ন।


সাদা কলার শ্রমিকের মানসিক মজুরবৃত্তি,
নীল কলার শ্রমিকের ঘামঝরানো মজদুরী।


স্থায়ী শ্রমিকের নিরবিচ্ছিন্ন কর্মধারা,
চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকের অস্থায়ী কাজের কর্মগাথা।


সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আছে
কিঞ্চিত উন্নত জীবনধারা,
অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আছে
আজীবন অন্তহীন দুর্দশা।


করোনাকালে এসে পাওয়া গেল
পরিযায়ী শ্রমিকের দেখা;


এক রাজ‍্য থেকে অন্য রাজ‍্যে,
গ্ৰাম থেকে শহরে গিয়েছিল যারা কর্মানুসন্ধানে,
ফিরে আসছে তারা পদযুগল ভরসা করে,
লকডাউন তাড়িত কর্মনাশের ফলে।


অভুক্ত জনতার ক্লেশযুক্ত শতশত মাইল পদযাত্রা
দেশবাসীর বক্ষে জন্ম দিল এক নিদারুণ যন্ত্রণা।


করোনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো
ভারতে দারিদ্র্যের সীমাহীন ব‍্যাপ্তি, ভয়াবহতা।


করোনা থেকে গভীর,
কঠিন অসুখে ভুগছে
আমাদের স্বাধীন,স্বদেশ ভারতবর্ষ।


সর্বনাশা,সর্বগ্রাসী দারিদ্র্যে নিমজ্জিত,
অধিকাংশ দেশবাসী এখনো,
আমরা সবাই যে বিমর্ষ।


কবে বেরুবে সেই
দারিদ্র্য নামক অতিমারি
নিশ্চিহ্ন করার ঔষধি?
কবে বেরুবে প্রতিষেধকখানি?


পৃথিবীর কোনো গবেষণাগারে
কি কাজ চলছে দারিদ্র্যকে
প্রতিহত করার ঔষধ
বা প্রতিষেধক তৈরীর?


কারো কাছে কি কোনো খবর আছে?


দুঃসহ বেদনা, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ভাবছি
কবে যে হবে নিপীড়িত শ্রমজীবীদের মুক্তি?