আত্মা অবিনশ্বর,
আত্মা প্রাণের আকর,
আত্মা মৃত‍্যুঞ্জয়,
আত্মার পুণর্জন্ম হয়।


আত্মা আছে ইহলোকে,
আত্মা আছে পরলোকে।


সকল আত্মার মূলে আছে পরমাত্মা,
যেন আত্মার চরম উৎকর্ষতা।


আত্মা,পরমাত্মা আছেন,
মহাশূন্যে, দিব‍্যলোকেও পরলোকে,
বিরাজিত যেন শক্তিরূপে অনন্ত শান্তিলোকে।


পরলোকে আত্মায় আত্মায়
নেই কোনো ভেদাভেদ,
অকুন্ঠিত,অবারিত,অন্তহীন প্রতিবেশ।


পরলোকে আত্মার পরিচয় এক ও অদ্বিতীয় হয়,
হিন্দু, মুসলমান বা অহমিয়া,বাঙালি নয়।


ইহলোকে ধর্ম,জাতি,ভাষা, বর্ণের নামে
মনুষ্যকৃত, মনুষ্য লালিত,মনুষ্য চালিত
যতসব হানাহানি, কুৎসা,বিদ্বেষ,
আর বিভাজনের পরিবেশ।


তর্পণের দিনে আজ করি,
পরলোকের সকল আত্মার স্মরণ।


জল প্রদান করি,
যেন আত্মাদের হয় পরম তৃপ্তির কারণ,
ব্রহ্মা থেকে তৃণাঙ্কুর পর্যন্ত সবার সন্তুষ্টির কারণ।


তর্পণের মাধ্যমে নিজ আত্মা হয়
পবিত্র, শুদ্ধ,উন্নত,পূণ‍্যময়;
শুভ ভাবনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়।