একমুঠো রোদ্দুর আর সতেজ হাওয়া
নিয়ে প্রতি ভোরে আসে সবিতা।


তারপর ক্ষিপ্র চালে ঘরদোর ঝাঁট দেয়া
এঁটো বাসনে ভিমের ছোঁয়া
বাসি পোশাকে সার্ফের পরশ
মেঝেতে লাইজলের ফোঁটা, সুবাসিত প্রতিবেশ।


নিত্যদিনের সাফাই পরিষেবা
দূর হয়ে যায় বাইরের সব মলিনতা।


স্নান সেরে তনুত্বকে দুধের সরের মত নরম ডাভ লোশন
মুখাবয়বে মোলায়েম সুগন্ধি নিভিয়া ক্রিম
ধোপদুরস্ত পোশাকে সুরভিত ফগ বাষ্প
স্নিগ্ধ নমনীয় কায়া, সৌরভে চারিপাশ মাতোয়ারা।


তারপর বেরিয়ে পড়ি। কর্মনেশার চাপ।
জীবিকার ঘেরাটোপে বন্দী আমরা সবাই
সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিচলিত অনেকেই।


প্রতিদিন তাই মনে জমতে থাকে
রাগ দ্বেষ হিংসা গ্লানি অহমিকা।
জমতে জমতে, জমতে জমতে, জমতে জমতে
রক্তচাপ, শর্করা, হার্ট অ্যাটাক, মনখারাপ।


কেমন করে দূর হবে মনের মলিনতা
জানা আছে কি কারো কোনো কুশলতা?


কার কাছে যাবো?


ধ্যানী না জ্ঞানী না মনোবিজ্ঞানী
না কোনো এক হিউম্যান বুক-এর কাছে?


প্রতিদিন মনের সাথে একটু কথা বলা
মন কি চায় জেনে নেয়া
পাড়া প্রতিবেশীর সাথে একটু হাসি খুশি মস্করা।


হঠাৎ একদিন টুপ করে খসে পড়বে
এই জীবনটা। তাই না?