তুমি জান কি তোমার জন্য আমার বেঁচে থাকা
আমার হৃদয় দেউলে তোমার প্রতিমা আছে রাখা
আকাশ বাতাস সাক্ষী আমি তোমায় পেয়েছি কাছে
এই জগতে তার চেয়ে আর সুখ বল কি আছে
তুমি আমার সাধনক্ষেত্র আমার আরাধনা
তোমার জন্য আশ্রমখানা করেছি রচনা
জীবন পথের সাথী তুমি অন্ধকারে আলো
মনের সব কালিমা মুছে মঙ্গল দীপ জ্বালো
সুন্দর তব দুটি আঁখি সুন্দর অধর ওষ্ঠ
তব কালো কুন্তলে মন হারাতে যথেষ্ট
রিনিক ঝিনিক নুপুর বাজে শ্রবনেতে শুনি
পুষ্পমাল্য হস্তপরে মূদ্রা আবাহনী
সোনার অঙ্গে সোনার কাঁকন কে কার অলঙ্কার
চন্দ্রমুখ ঐ পূর্ণিমাতে দেখায় চমৎকার
হাসলে তুমি মরুভূমি শীতল হয়ে যায়
বরফগলা নদীর গতি থমকে থেমে যায়
বাসলে ভালো বনের পাখি ঘর বাঁধতে চায়
মায়া ভরা সোহাগ পেতে মন করে আঁইঢাই
দৃষ্টি দিলে বৃষ্টি ঝড়ে লজ্জায় মেঘ থেকে
পেখম মেলে ময়ুর নাচে বনে থেকে থেকে
ডাকলে কাছে কে আর আছে পেছন পানে যায়
তোমার উদার আহ্বানে মুগ্ধ বিশ্ব প্রায়
প্রিয়ে তোমার আকর্ষণে পাগলপারা হয়ে
হৃদয় সদা হারায় দিশা তোমার পায়ে পায়ে
রাধে তুমি তোমার জন্য সকল প্রয়াস করি
তোমার সুরে সুর বেধে হই আমি বংশীধারী
লক্ষী তুমি নারায়ণী আমারও উপাস্য
ভক্তিডোরে বাধা পড়ি শুনতে অবিশ্বাস্য
তোমার হৃদে একটুখানি বসতে আসন দিও
হে প্রেয়সী সবার চেয়ে তুমিই আমার প্রিয়।