জানিস দিদি, ফি বছর , নারী-দিবস উপলক্ষে
নারীর স্বাধীনতা,নারীর আত্মমর্যাদা নিয়ে  কিছু
লিখতে বসলেই ...তোর মুখ টা মনে পড়ে যায় আমার।
ছোটবেলা থেকে আজও পর্যন্ত ,তোর প্রতিনিয়ত ইচ্ছেগুলিকে
যারা চাবুক মেরে শাসন করেছে ... তোর
আত্ম-কর্তৃত্ব কে যারা চিরকাল বাক্সবন্দী  করেছে ...
হাঁটু মুড়ে সে সকল পুরুষের হয়ে বলতে ইচ্ছে করে -
“ ক্ষমা করে দিস্ দিদি, ওদের “ ।


মনে আছে আজও ...আমার থেকে অনেক অনেক
পড়াশুনায় ভালো হয়েও তোর  সায়েন্স নিয়ে পড়া হল না ...।
পড়তে পড়তেই তোর বিয়ে হয়ে গেল
অন্য কারও গৃহে আসবাবপত্রের মত শোভা দানের উদ্দেশ্যে ।
কেউ একবার টি জানতেও চাইল না তোর কাছে ...
‘তুই কি আরও পড়তে চাস?নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাস”?
অবচয়যোগ্য ইলেকট্রিক সরঞ্জামের মত অপ্রানীবাচক অস্তিত্ব
নিয়ে শুরু হল তোর নতুন জীবন ...শুধু সমন্বয়ের জীবন ...।


ক্রমপুঞ্জিভূত স্বপ্নগুলো ভাসিয়ে  দিলি একে একে ...
অপরের স্বপ্ন গুলি কপি-পেস্ট করতে শিখলি  --মৌলিকত্ব হারিয়ে,
বিনা বেতনের মাল্টিফাংশনাল সেক্রেটারি হয়ে রইলি সারা জীবন...।
কোন এক নারী দিবসে সম্মানিত হলি ‘জননী’ রূপে –প্রজনন যন্ত্র তো তাই।
আরও একদিন সম্মানিত হলি ‘ রমণী’ রূপে –রমণযোগ্য তাই।
আরও কত কত সম্মানে ভূষিত করা বাকি আছে কিনা কি জানি।
কিন্তু দিদি, তুই একবার কি অন্তত চিৎকার করে বলতে পারবি ,
‘এত সব সম্মান চাই না আমার...আমাকে আমার কর্তৃত্ব টা তো নিতে দাও’।।