জোছনা রাতে নদীতীরে নির্জনতাকে অনুভব করতে চেয়েছিলাম ...
দাও নি সে সুযোগ কোনদিন – ও...
নিশীথের আলোয়... একাকি, আত্মগ্লানি পর্যালোচনা করতে চেয়েছিলাম ... যেতে  দাও নি আমায় ...
নিরাপত্তার উদ্বিগ্নতা সীমায় আবদ্ধ করেছিল ...।


আমার নিরাপত্তার জন্য অনেক কড়ি  ফেলেছ তুমি ...
মিলিটারি...প্যারা- মিলিটারি ... পুলিশ...সিসিটিভি ....
সমানাধিকারের লিফলেট বিলি করেছো ...
নিরাপত্তা –সচেতনতার নাগরিক সন্মেলন ...আরও কত কি ...
কিন্তু মনের নিরাপত্তা  দিতে  পেরেছো কি ...?  


নাইট শিফটে ডিউটি ...ভোর চারটেয় বাড়ি ফিরি ... অবাক হও !
কেন জান ? নিরাপত্তা বলয়ের নিরাপত্তাতেই  তুমি সন্দিহান ..।
আমার সফলতাকে-ও  আমি  প্রকাশ করি –
' ভোর  চারটেয় একা একা বাড়ি ফিরি ‘’ এই বলে ..কেন জান?
মনটাই  সীমায় আবদ্ধ ..সেই ছেলেবেলা থেকে ...।


মনে পড়ে ..আমি তখন ক্লাস নাইনে ..রাত্রে ওষুধের প্রয়োজন  ...
মা বললেন, না. তুই না একদম....ভাই- ই যাক..এত রাতে....
একা মেয়ে... বিমর্ষ মন নিয়ে কেঁদেছিলাম সে রাতে ..
কর্তব্যপালনে  প্রশান্তির অধিকারে এত নিঃস্ব আমি...নিরাপত্তার ঘেরাটোপে –ও  আমার সেই  মেনে নেওয়া কি স্বার্থপরতা ছিল?...



ধন্যবাদ তোমায় ...সমানাধিকারের দরজাটা খুলে দিয়েছ ...।
কিন্তু সুপ্ত – কামুকতার বন্য প্রকাশের অভীপ্সাকে
সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে  সংশোধিত করতে পার নি......।
তুমি বরং নতুন করে একটু ভাব ..
দাও না, আমার মনের নিরাপত্তা   ... প্রান ভরে বাঁচি ...।
                      --------------------