অনেক আমার মত ‘ আমি’-র মাঝে  মিশিয়ে দিলে যেদিন আমায়...
দম বন্ধ হয়ে আসছিল .. চিৎকার করে কতবার বললাম...
মুক্ত কর আমায়...মুক্ত কর...; শুনতে পাওনি? না কি শুনতে  চাও –নি ...
ঐ বেজন্মাদের সাথে মিশিয়ে দিলে আমায় ...!
খূব কেঁদেছিলাম সেদিন ...আমার অস্তিত্বের আয়ুষ্কাল নিয়ে  
দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম সে  রাতে... ভয় হচ্ছিল ... কি  জানি
আমাকেও যদি ’নষ্ট ‘ বলে তাড়িয়ে দাও ...।


মনে পড়ে ...যেদিন জন্মেছিলাম ...বেজেছিল শঙ্খ – ধ্বনি ...
সভ্যতার আলোক শিখা ছড়িয়ে দেব দিগন্ত থেকে দিগন্তে ...
এ প্রত্যাশা ছিল তোমাদের  ,আমার  প্রতি ...। অর্থনৈতিক প্রগতির
প্রত্যয় নিয়ে  আলোকবর্তিকা রূপে  গড়েও ছিলাম, নিজেকে ...
কিন্তু, অন্ধকার –ও যে রয়েছে আলোর গভীরে... জানা ছিল না ।
অন্ধকারে  নিঃক্ষেপ  করেছিলে আমায় ...তোমাদের –ই কেউ ...
হৃদয় মাঝারে ঠাঁই দিতে পার   নি হয়ত ...।


তোমাদের – ই কেউ আবার আমায় বন্দি করে-ও  রেখেছ গোপন অন্তরালে ...
বৈধতার পোশাকটুকু –ও পড়াও নি ...; রাষ্ট্রতন্ত্রের সব অনুশাসনকে
তুড়ি মেরে  শুধু ব্যবহার  -ই করে গেছ  আমায় ...
আর আমি,বাঁচার লড়াইকে অনুভব করে গেছি  নির্মম ভাবে ...।
বহুবার আমি  প্রকাশ করতে   চেয়েছি
ওদের নষ্টামি ...পারিনি আমি...
ভেবেছি শুধু ...আমার মুক্তি কবে ? মুক্তি কোথায় ...?


পরজন্মের  দিনক্ষণ ঘোষণা করে আমার মৃত্যু –ঘণ্টা শোনালে তবে ...
স্তম্ভিত সবে ...কেউ কেউ  দেখছি  আমায় জড়িয়ে ধরে কাঁদছে –ও ...
পরে বুঝলাম, যারা আমার পরজন্মে সন্দিহান...... তারাই  শুধু কাঁদছে ...।
এ-ও  বুঝলাম... আমার মৃতদেহ সৎকারের সম্ভাবনা
পরজন্ম প্রাপ্তির  নিশ্চয়তার   উপর নির্ভরশীল। তবে যাবার আগে
হিসাব মেলাচ্ছি বন্ধু ...আনন্দ- দুঃখ –অবিচারের ব্যালান্স শিট ...
তবে আজ আমি বিষণ্ণ নই একটুও...  ভোর  হতে  যে আর  বেশি দেরী নেই ...।।
                                ====         ====