সে দিন ভোরে বাতায়ন খুলে দেখি,
তুমি দাঁড়িয়ে দরজার পাশে।
করুণ তোমার মুখখানি,
আলুলায়িত তোমার বেশভূষা।
যেন সারারাত বয়ে গেছে,
ভীষণ তুফান তোমার সর্বাঙ্গে।
তুমি ছিলে পষ্টবক্তা ও প্রতিবাদী।
তোমার এ রূপ কল্পনাতীত।
কি এমন ঘটেছিল সেই রাতে?
তুমি নিজেকে রাখলে মৌন।
কলেজের সেই দিন গুলি ভাবলে বিস্মৃত হই,
এই কি সেই তুমি,না অন্য কেউ।
মাঝে অনেকগুলি দিন হয়েছে অতিবাহিত।
এরই মধ্যে এতো পরিবর্তন-
তুমি কি নিয়েছো নিজেকে গুটিয়ে,
সুপ্ত রেখেছো তোমার অন্তরাত্মা কে?
হেরেও যে হারে না, তার একি হাল!
তুমি তো শৈবালে আবদ্ধ তটিনীর ন্যায়।
আকাশের পানে তাকাও,দেখ-
কালো মেঘের আনাগোনা।
বিদ্যুতের ঘন ঘন ঝলকানি।
তোমার করুণ মুখাবয়বকে,
করে ব্যঙ্গ তামাসা।
হঠাৎ বজ্রপাতের আওয়াজ।
কান ঝালাপালা  হওয়ার অবস্থা।
চোখে দেখি ঝাপসা,
চারিদিকে কোলাহল,গেল গেল রব।
দেখি নিথর তোমার দেহ দরজার পাশে।
শায়িত তোমার দেহ উঠান মধ্যে।
শ্বেত উওরীয় ঢাকা তোমার সর্বাঙ্গে।
তোমার প্রতিবাদী ভাষা রইল অবাক্ত।
নিঠুর এই পরিহাস তোমাকে দিল মুক্তি।
তুমি হেরে গেলে, আর রেখে গেলে,
বুকভরা বেদনা, হার না মানা-
হারের জেদ।