অফিস থেকে ফিরছি সেদিন
আকাশ বেজায় কালো,
দেখি এক ছোট্ট মেয়ে
সামনে দৌড়ে চলে গেলো।
জিজ্ঞেস করলাম-- নাম কি রে তোর?
খিলখিলিয়ে হেসে
সে বললো-- বর্ষা,
গ্রীষ্ম শেষে এসেছি আমি,
দেখছো না,
আকাশ নেই যে আর ফর্সা।
কি মিষ্টি মুখখানি তার
তাকে বললাম ---
এদিকে আয় বন্ধু হবো।
সে বললো আগে বলো
আমি তোমায় ইচ্ছামত ভেজাবো।
বললাম বেশ।
হঠাৎ করে রিমঝিম রিমঝিম
নৃত্য নূপুরের ছন্দ,
জড়িয়ে ধরলো আলো আঁধারে
মিষ্টি একটা গন্ধ।
আলতো ঠোঁটে আমায় এসে
দিলো চুমু এঁকে,
চোখে, মুখে আদর করে
বন্ধু বলে ডেকে।
আমিও আদর মেখে নিলাম
আশ্লিষ্ট হলো গা,
ভিজলো শরীর, ভিজলো মন
ছোট্ট বন্ধুটি যে ছাড়তেই চায় না।
বিকেল শেষে চারিদিকে
নেমে এলো সাঁঝ,
ভিজে জামা কাপড় আমার
বললাম ফিরতে হবে আজ।
মুখ গোমড়া করে বলে
যাচ্ছ চলে যাও,
কালকে আবার আমার সাথে
খেলবে কথা দাও।
বললাম তাকে-- কথা দিলাম।
রাত কাটলো সকাল হলো
আলোর দেখা নেই,
বর্ষা দেখি দাঁড়িয়ে আমার
বাড়ির সামনেতেই।
হাত বাড়িয়ে ডাকছে আমায়
নাছোড়বান্দা মেয়ে,
বললো আমায় খেলবো সারাদিন
অফিস ছুটি নে।
আচ্ছা বিপদ হলো দেখি
ধমকালাম খুব,
কেঁদে কেটে লুটিয়ে পড়ে
করেই না সে চুপ।
অগত্যা, সারাদিন চললো খেলা
বাড়ির উঠোন জুড়ে,
কখনো পাতায় কখনো মাঠে
গানের সুরে সুরে।
বুঝলাম সেদিন বর্ষা ভারি দস্যি।
ছাড়েনা একটি বারও।
ধমক চমক দিলাম খানিক,
তবুও যখন তখন,
পথে ঘাটে অফিস যেতে
করতো জ্বালাতন।
অবশেষে ঝলমলে রোদ
সারা আকাশ জুড়ে,
রোদের তাপে হারালো সে
আমার থেকে দূরে
মন খারাপ হতো তার জন্য
দুঃখও হতো বেশ,
রাগ করে সে হারালো বুঝি
অচিন কোনো দেশ।