সবুজে ঘেরা মাঠের ধারে
আমার ছোট্ট কুঁড়ে,
দুইটি মুরগী একটি মোরগ
বেড়ায় দাওয়ায় ঘুরে।


লাউ কুমড়ো মাচা ছেড়ে
দেওয়াল বেয়ে ওঠে,
জবা টগর শিউলি গোলাপ
উঠোনেতে ফোটে।


খড়ের চালে শালিক টিয়া
বসে উড়ে এসে,
গান শুনিয়ে যায় যে তারা
আমায় ভালবেসে।


রবির আলোয় ঘর যে আমার
সকাল বিকাল ভাসে,
নানা রকম ফলের বাগান
আমার ঘরের পাশে।


তাল সুপারি আম নারিকেল
সেথায় ভরে থাকে,
কাঠবিড়ালি দৌড়ে বেড়ায়
খেলবে বলে ডাকে।


একটি ছোট্ট তুলসী মঞ্চ
উঠোনের ঠিক মাঝে,
মা যে সেথায় প্রদীপ হাতে
শঙ্খ বাজায় সাঁঝে।


দাওয়ায় বসে খাওয়া দাওয়া
গল্পগুজব চলে,
রাতের বেলা ঘরের ভিতরে
লন্ঠনখানি জ্বলে।


মাটির মেঝেয় চাটাই পেতে
শুই যে মোরা রাতে,
জ্যোৎস্না ভরা রাতের আকাশ
উঁকি দেয় জানলাতে।


ঝড়ের সময় থাকি মোরা
যখন প্রাণের ভয়ে,
ঘরটি মোদের বাঁচায় দেখি
সকল ঝঞ্ঝা সয়ে।


বর্ষাকালে ঝমঝমিয়ে
যখন বৃষ্টি আসে,
সোঁদা মাটির গন্ধ তখন
ঘরের ভিতর ভাসে।


পারি না যে থাকতে আমি
ঘরটি আমার ছেড়ে,
ছোট্ট থেকে তার বুকেতেই
উঠেছি যে বেড়ে।