হুগলি নদী তীরে আমাদের গ্রাম
সারি সারি গাছেতে ফলে আম জাম
গ্রামের ওই বুক জুড়ে পাকা কাঁচা ঘর
মিলেমিশে থাকি সবে নহে কেউ পর।


ক্ষেত জুড়ে দোল খায় সোনালী ধান,
স্নেহ ভরা বায়ু বয় জুড়িয়ে দেয় প্রাণ।
বর্ষায় ভরে ওঠে পুকুরের জল,
দিনে রাতে খেলা করে হাঁসেদের দল।


তাল কলা লিচু বেল কাঁঠাল আর কুল,
পদ্ম শালুক কদম শিউলি ফোটে নানা ফুল।
উঠোনেতে উঁকি মারে বাঁকা রোদ রোজ,
বিপদেতে রাখি মোরা সকলের খোঁজ।


ভোর হলে শোনা যায় পাখিদের গান,
গোধূলিতে আকাশের মুখ হয় ম্লান,
প্রজাপতি ভ্রমরে মেতে থাকে বন,
সবুজের সমারোহে ভরে যায় মন।


জোনাকি মিটিমিটি জ্বলে সারারাত,
জ্যোৎস্না আলোতে হয় গ্রাম মাত।
ঝিঝি ডাকে ঝোপে ঝাড়ে শুনশান পথ,
ব্যাঙগুলো বর্ষায় করে গদ-গদ।


লালিত্য স্নেহ-ছায়ায় গ্রাম মায়েরই রূপ,
ছোট বড় সকলেই থাকি সুখে খুব,
রাখাল কৃষক শ্রমিক মজুর সকলেই সমান
বুক ভরা ভালোবাসায় গাই মিলনের গান।