জোছনা ভরা রাত দুপুরে
আঁধার গেছে কোন পাটে,
চাঁদ মামা রয় শুধু একলা
চড়কায় বুড়ি সুতো কাটে।
সুতো দিয়ে উড়ায় ঘুড়ি
ছোটরা সব দাঁড়ায় পাশে,
ফুকলা দাঁতে বুড়ির হাসি
দেখে সবাই ভীষণ হাসে।
বুড়ির হাতের ছোট্ট ঘুড়ি
নীলাকাশে ভোকাট্টা খায়,
তাই না দেখে ছানারা সব
বুক চাপড়িয়ে করে হায় হায়।
কেউবা বলে দুষ্টু বুড়ি;
বেশ হয়েছে গেছে কেটে,
কিপটে বুড়ি দেয়না কিছু
সবকিছু খায় চেটে পুটে।
এই বয়সে খায় বুড়ি বেশ
মন্ডা মিঠাই ছানা-বড়া দই,
রাতের বেলা দুধের সাথে
চাই বুড়ির সরু ধানের খই।
বুড়ির নাতি ছিচ কাঁদুনে
রোজ রাতে শোয় বুড়ির সঙ্গে,
রাত ভর ডাকে বুড়ির বুচা নাক
হঠাৎ যায় সবার ঘুম ভেঙ্গে।
বুড়ির জ্বালায় জ্বলে সবাই
আহা উহু করে উঠে,
কবে বুড়ি মরবে যে বল
নিয়ে যাব মরার ঘাটে।
একদিন সকাল বেলায় বুড়ির
ভাঙলো না আর রাতের সেই ঘুম,
ডাকাডাকি করলো সবাই
রইলো বুড়িমা শুধু চুপ ।
সবার মনে আজ হাহাকার
এমনি একদিন চলে যাবো,
পারের কড়ি থাকবে কারুর
কেউবা বিনা কড়িতেই পার হবো।