গ্রীষ্মের দুপুরে পুকুরপাড়ে ঐ শতাব্দী প্রাচীন বৃক্ষ হতে জীর্ণ ধূসর পাতা সম্পর্কের শেষতম শেকড় ছিন্ন করে রুক্ষ পুকুরবক্ষে আঁচড়ে পড়তেই শান্ত পুকুরটা যেন বিনাশব্দে কেঁপে উঠল, একের পর এক তরঙ্গে উদ্বেল হল চারপাশটা। পুকুরে তখন রহস্যের ঘনঘটা।
দাম্ভিক পুকুরের এককোণে একাকিনী ঠিক আশ্রয় করে নেবে!


সহস্র বৎসর পরে প্রাক্তন এক প্রিয়ের পাঠানো পত্র
লক্ষযোজন পথ পেরিয়ে অবশেষে তার প্রিয়তমার ঠিকানায় পৌঁছোলে
এক পলকেই সম্পর্কে পাহাড়সম দূরত্ব কমে যায়।
ভীষণ মৃদু কন্ঠে একে অপরকে জিজ্ঞেস করে ওঠে - ভালো আছো?
আজ তাদের মৃতপ্রায় ভালোবাসা অনুভূতিগুলো একে অপরকে পাহারা দিচ্ছে;
সহমরণের রীতি নেই যে এখন!


নদীকূলে, শহরের গলিপথে পাখিদের মজলিশ বসে না আর,
নিশ্চিত বাসস্থান জানা নেই বলে চড়াইগুলো বাসায় ফেরে না,
তাদের বসবাস করা হলেও, সহবাস করা হয়নি আর ;
মৃত মানুষেরা তো নিরন্তর পাখি হয়ে যায়, কিন্তু পাখি?
গভীর বর্ষার রাত্রে ঘুম আসে না।
কোনো এক বজ্রপাতের রাতে বুকভরা অভিমান অভিযোগ নিয়ে -
চোরাবালির স্রোতে তারা ভেসে যাবে,
ধুলোবালি হয়ে মিশে যাবে, থেমে যাবে কোলাহল।