এই সাঁঝবাতি.... ,
মন খারাপের জানলা খুলে কখনোও শাদা পায়রা উড়িয়েছো!
অভিমানের চাদর সরিয়ে ভোরের ঐ কুয়াশার গন্ধ মেখেছো!
কাটা খেঁজুরের জমানো ঐ কান্নার স্বাদ নিয়েছো কলসি পেড়ে!
শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটতে গিয়ে শুক শারীর দ্বন্দ্বে মেতেছো!
ভালোবেসে কখনোও কোকিলের ঐ ধ্রুপদী কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়েছো!
শীত তবে আসবে কেন?


চারতলাবাড়ি, এসি গাড়ি; ব্যস্ত তোমার আসা যাওয়া
কখনো গায়ে মেখেছো সোহাগ করে ঐ হিমেল হাওয়া!
এলোমেলো শরীরে বেপরোয়া হয়ে কখনোও বেড়িয়ে পড়েছো-
যুগযুগান্তরের গোলকধাঁধায়, ঝরাপাতাদের ঝরে পড়া দেখবে বলে!
অবহেলা করে হলেও একটিবার সরষের ক্ষেতে মুক্তির স্বাদ নিয়েছো!
শীত তবে আসবে কেন?
ওই সাঁঝবাতি....?


আচ্ছা সাঁঝবাতি....
দুঃস্বপ্নে একটিবারও আমায় শক্ত করে আঁকড়ে ধরেছো!
আমার জন্য অপেক্ষা করে কখনোও ভোরের সূর্য উঠা দেখেছো!
সাঁঝবাতি, তুমি একটিবারও নিজেকে ভেঙেচুরে সমর্পন করোনি,
ভেবেছো ঠিক এসে অপ্রস্তুত চুমুতে আবার তোমায় জড়িয়ে নেবে!
তাচ্ছিল্যের পাহাড় বুনতে বুনতে যখন আমার অসুখ হবে, দাহ হবে;
সেদিন বোধহয় বুঝবে তুমি ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি পারস্পরিক।