শহীদুল ইসলাম প্রামানিক


শত বছরের অধিক হবে
গোয়ালন্দের ঘাট
চলছে সদাই লঞ্চ স্টীমার
যায়নি চুকে পাট।


মালিক-মহাজন কুলি-মজুর
এপার ওপার যায়
যাওয়ার সময় লাগলে ক্ষুধা
হোটেলগুলোয় খায়।


পদ্মা নদীর ইলিশ ভাঁজা
পাংগাস মাছের পেটি
চিংড়ি মাছের দোপিয়াজি
খায় সায়েবের বেটি।

ছোট মাছের চচ্চরি আর
বোয়াল মাছের ঝোল
যে একবার খাচ্ছে সেথায়
ছাড়ছে মায়ের কোল।


মুরগী খাসি সবই আছে
আছে গরুর ভুনো
খাওয়ার মাঝে ঝোল চাইলে
দিচ্ছে আবার দুনো।


এমন স্বাদের তরকারী সব
যায়না কভু ভোলা
সাজিয়ে রাখে সব দোকানে
ঢাকনা ছাড়া খোলা।


মাছের সাথে যা কিছু খান
নাই তো কোন বাধা
কিন্তু যখন ডাল খাবেন ভাই
শত বছরের রাঁধা।


নতুন ডাল রান্না করেই
সেই ডালের সাথে
শত বছরের বাসি ডাল যে
দিচ্ছে ঢেলে তাতে।


এমনি করে যুগ যুগ ধরে
চলছে সেথায় রান্না
জিগ্যেস করলে বলে দেবে রে
বুড়ো বাবুর্চি পান্না।


পরশু তরশু যখনি খান
কিংবা আগামী কাল
কোন দিনই শেষ হবে না
গোয়ালন্দের ডাল।