: আপনারা চলে যাচ্ছেন?
: হ্যাঁ,গাড়িতে সব মালপএ তোলা হয়ে গেছে,শুধু এটাই ফেলে যাচ্ছিলাম!
: বেশ কিছুদিন তিনতলাটায় আপনারা ছিলেন।
: হ্যাঁ, তা প্রায় বছর দুয়েকের উপর হবে।
: আপনার নাম তো মামন............
:  হ্যাঁ,ভালো নাম প্রিয়দর্শিনী রায়।
: জানি.......
: জানেন! কি করে জানলেন?
: শুনেছি কারও মুখে হয়তো।মাছ ভাজতে গিয়ে হাতে যে ছেঁকা খেয়েছিলেন,ব্যথাটা ভালো আছে তো!
: হ্যাঁ,কিন্তু আপনি কি করে জানলেন!
: হাতে ব্যান্ডেজ করা ছিল, দেখেছিলাম কোন সময় হয়তো।
: হ্যাঁ,কিন্তু মাছ ভাজতে গিয়ে.........
: আচ্ছা টিউশান থেকে ফেরার পথে অসুবিধা হয় না তো ।
: না,কেন?
: না,খারাপ লাইট পোষ্টের কাছে ছেলেটা আপনাকে বিরক্ত করতো এখন আর করে না তো না?
: না, কিন্তু এতো কিছু আপনি জানলেন কি করে!
: চলার পথে কখনো দেখেছিলাম হয়তো।পরশু আবার ডাক্তার দেখানোর ডেট আছে না
  আপনার টিউমার টার জন্য,তার কি হবে !
: মা জানেন কি করবেন কিন্তু আপনি.......
: আপনার বেহালা বাজানোর হাতটা কিন্তু খুব সুন্দর।
: আমার তো বেহালা নেই ।
: জানি বন্ধুরটা নিয়ে বাজান,বন্ধুর বাড়িতেই।আপনার মা এসব পছন্দ করেন না।তাই
   লুকিয়ে বাজান।
: কিন্তু আপনি........
: ছাদ দিয়ে আপনার গোলাপের টবটা নিয়েছেন?আপনি কিন্তু টবটাকে খুব যত্ন করতেন ,
   ফুল গুলো ফুটলে খুব সুন্দর লাগতো।
: আজও একটা ফুটে আছে।
: হ্যাঁ, কালকেই পাপড়ি গুলো মেলতে শুরু করেছিল,সাবধানে নিয়ে যাবেন ।।
: নেওয়া হয়নি...
: নেননি,ভুলে গেছেন।আপনি যদি বলেন আমি টবটাকে এনে দিতে পারি।
: না, ওটা কারোর জন্য রেখে গেলাম।  
      
এই প্রথম আমার ...........  


  : আপনাকে কিছু বলার ছিল .........
  : বলুন .........
  : দোকানে সারাতে দেওয়া আপনার ঐ মোটা কালো ফ্রেমের চশমাটা সবচেয়ে ভালো।রাতে পরাশুনার সময় যেটা পরতেন।
  : আপনি..........
  : অত রাত পর্যন্ত লেখালিখি করেন,ওটাই ভাল। আর রাত না জেগে সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারেন না? বেশী রাত জাগতে মানা আছে না আপনার?
  : আপনি..........
  : আপনার নীল জামার একটা বোতাম খুলে গেছে পরশু, আপনি খেয়াল করেন নি বোধ হয়!
  : আপনি ........
  : আমি আসি। আর হ্যাঁ আপনার লেখা কবিতাগুলো সত্যিই গভীরতা পূর্ন।
  : আমার কবিতা !
  : জানি নিজের নামে কবিতা গুলো প্রকাশ করেন না, কাল রাতে লেখা কবিতাটা এখনও
   অনলাইনে প্রকাশ করেননি কেন? আপনার ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে লিখেছেন না কবিতাটা 'অন্তরালে'?