- আরে এই আশিষ
  আমাকে চিনতে পারছিস !
  বল তুই কেমন আছিস ?


- হু ভালো
  তবে তোমায় ঠিক চিনতে পারছিনা !
- ওরে গর্ধব ভালো করে দেখ, আমি যে তোর আলো ।


- আলো ...!
  সত্যিই পারছিনা চিনতে
  একটু যদি খুলে বলেন, তবে হয় বেশ ভালো ।


- জানিতো পারবিনা চিনতে, হয়ে গেছি না মুটি
  অথচ একসময় ফ্যলফ্যল করে তাকিয়ে থাকতিস ...
  এমন ভাব করতিস,যেন পরত না চোখের পাতা দুটি।


- ওহ তিলোওমা ...
  সত্যিই চিনতে পারিনি
  কতো দিন আগে দেখেছি,প্লিস করে দিও ক্ষমা।


- থাক থাক আর করতে হবে না বড়াই
  বল কেমন আছিস
  আর তোর সেই সম্প্রদায়ের লড়াই ।


- ওসব আর করি না, এখন ঘরোয়া সংসারী
- ঘরোয়া! সংসারী! তবে চল যাই ...
  ঐ যে দেখছিস ঐ টা এখন আমার বাড়ী।


- ওহ তাই নাকি, বাহ ; তবে আজ থাক পরে একদিন যাবো ...
- আমার না খুব খিদে পেয়েছে
  চল না রে গল্প করতে করতে দুজনে কিছু খাবো ।


- আমার আজ কাজ আছে, খেয়ে নাও তুমি যাও
- তিন বছর ধরে শুধু দেখেই গেছ
  আজ অন্তত সুযোগ দিচ্ছি আমার সাথে খাও।


- আমাকে সঙ্গে নিয়ে কতজন কত কি খেল
- আমি একটু আগেই ভাত খেয়েছি
- বুদ্ধু একটা, তাতে আমার কি এলো গেলো?


- মানে !
- চুপ করে চল আমার সাথে
  নইলে ধরিয়ে দেব কানে।


- এই না গো সত্যিই আমার আছে কাজ
- কোন কথা শুনবো না তোর,
  আমি বলে দিলাম আজ।


  তোর লেখা একটা চিঠি এখন আমার কাছে
  চল দিয়ে দেব
  সযত্নে আলমারিতে লুকিয়ে তুলে রাখা আছে।


- তুমি তাহলে পেয়েছিলে সেদিন চিঠি খানা
- হু পেয়েছিলাম
  তোর নেইকো বুঝি জানা!


- তাহলে সেদিন ইচ্ছে করেই অবাক হয়েছিলে !
- হ্যা হয়েছিলাম ...
   কি করতিস বা তুই সেদিন হ্যা বলে দিলে ?


- জানিনা,তবে সেদিন সত্যিই তোকে ভালোবেসে ছিলাম ...
- আর আজ ...
- এ বাবা কি কথাতে কি যে বলে দিলাম ।


- আজ তোকে বলতেই হবে, সত্যি করে বল
- বিশ্বাস কর আজ কাজ আছে
  অন্য একদিন কথা হবে, টা টা আজ চল।


- তবে সেদিন ছিল কি তোর এই ঠুনকো ভালবাসা
  এতোদিন অপেক্ষা করে আছি
  আর আজ তুই চুরমার করে দিলি লুকিয়ে রাখা আশা।


   জানি তুইও করেছিস বিয়ে ,
   এও জানি বেশ আছিস
   মেয়ে বউ সংসার ধর্ম নিয়ে।


  তোর প্রথম প্রেম যে আমি
  সত্যি করে বলতো , একবারও কি ইচ্ছে করেনি -
  এই প্রথম প্রেমিকাকে একটা দিতে হামি।


  জানি দুজনে মিলে সংসার, আর সম্ভব নয় ।
  তাই বলিকি
  এর বাইরে বাকিটা , নিজেদের ভিতর করে নিলে হয়।


  কেউ জানবেনা কোন কিছু ,
  তুই শুধু চুপিসারে
  নিয়ে আয় আমার পিছু পিছু ।


- বলছিস কি সব কথা !
  তুই যে বিবাহিত ...
- ওরে ওটাই যে মোর ব্যথা।


  আমি পেতে চাই তোকে
  ভিতরটা খুলে দেখিস কত ব্যাথা জমে আছে ...
  তোকে না পাবার শোকে ।


- এখন এসব ভাবাটাও পাপ
- ওরে আমার সতি সাবিওির
   যুধিষ্ঠিরের বাপ।


  চল না বাড়িতে, তুই
  শশুর শাশুরি কেউ নেই ...
  দুজনে এক বিছানাতে শুই ।


কতদিনের অপেক্ষা শুধু তোর জন্য
তোর ঔরসে ধন্য করিস
আমায় করিস তোর বন্য।


  শুধু করে দিস আমায় তৃপ্ত
  বিশ্বাস কর আমার এতো যৌবন জ্বালা
  না পেয়ে আমি হয়ে আছি ক্ষিপ্ত ।


  চল না দেখি দুজন দুজনকে খুলে
  যৌবন টাকে তৃপ্ত করি
  সব কিছুকে ভুলে ।


  আমার মধুর স্বাদ একটু নিলে তোর ঠোঁটে ,
  তোর কালো ভ্রমরের স্পর্শে দেখিস ...
  কেমন আমার ফুলের পাপড়ি গুলো ফোটে ।


  তুই যা চাইবি তোকে দেব
  দেহ মন ধন সম্পত্তি ...
  বিনিময়ে একবারের জন্য নিজের মতো করে নেবো ।


  জানিস আমার স্বামীর অনেক টাকা ,
  কি চাই তোর গাড়ি বাড়ী ...
  লুকিয়ে লুকিয়ে তোকে এতো দেব , তুই পরে যাবি ঢাকা ।


  সব কিছু ভেবে বল ...
  প্রেমিকা সম্পত্তি স্বর্গসুখ সব পাবি
  শুধু একবার আমার ঘরে চল ।


- আমার বলার নেই কোন ভাষা ...
  শুধু বলতে পারি ,  আমার গিন্নী
  আমার ঘামের ঘ্রাণ নিতে করে আছে আশা ।