১। যার গর্ভে একদিন, তুই জন্মেছিলি
    যার লালন পালনে এত বড়টা হলি
    তাঁকে নিজেই, আজ 'অচ্ছুৎ' বলে দিলি !
    
    নিজের মতো করে বানিয়েছিস নতুন ঘর
    মায়ের আশিষ- 'আরোও বড় তুই কর'
    সেই মাকেই তাড়িয়ে করলি তুই পর !


    যে মা দেখিয়েছে তোকে এই দুনিয়ার মুখ
    ছোট্ট কুঠিরে না ঢুকিয়ে কত পেলি তুই সুখ
    বিশ্বাসঘাতক, বুঝলি না মায়ের এতটুকুও দুখ !


    দর্শালি কারণ, মায়ের দেহে ঋতুমতির গন্ধ
    ওরে বোকা ওটাই যে মায়ের মাতৃত্বের ছন্দ
    উহা ব্যতীত ধাত্রীবুকে তোর প্রবেশাধিকার বন্ধ।



২। মন্দিরে আছিস তুই সারাটা দিন ধরে
    ভুলত্রুটি না হয় যেন রাখিস খেয়াল করে
    গর্ভধারিণীর ইচ্ছেগুলো গুমরে গুমরে মরে !


    মন্দিরের তোর মাকে তুই বলছিস জাগ্রত
    জেনে দেখ, ঋতুমতি হলেই তবেই মা অক্ষত
    ঋতুমতিরা কেন তবে ঋতুমতির মন্দিরে বিব্রত ?
  
    ঋতুকালে মেয়েরাই মেয়েদের সহচরি
    ভাগ্যের দোষ, আসনি সে কপাল করি
    কেন তবে ঋতুমতির কোমড়ে পড়াস দড়ি ?


    ঋতুমতি মায়ের মন্দির তুমি কার !
    ভেবে দেখ প্রবেশে তোরই অনধিকার
    আজ থেকে বন্ধ তবে পুরুষের জন্য দ্বার !



৩। আঁধার সরিয়ে দিয়ে মা নিয়ে আসে আলো
    আলোর প্রদীপ সংঘবদ্ধ হয়েই সব জ্বালো
    নয়তো, সর্বনাশে ঢেকে আঁধারে ঘনকালো ।


    নিজের চিন্তাভাবনা দিয়ে ভাব একটা কথা
    পূর্বপুরুষের সব নিয়মে ছিল কি সু-প্রথা !
    কুসংস্কারে ডুবে নিজের মাকে দিবি ব্যাথা ?


    পূর্বপুরুষের পুরুষ তন্ত্রে আজ আমরা বলি
    আয় ফিরে, সবে মিলে এ কু-প্রথাকে  দলি
    মায়ের দেখানো আলোকে একসাথে সব চলি ।


    নয়তো মায়েরও নিজের পুরানো প্রথা আছে
    রাক্ষসেদেরই মুন্ডু কেটে, তান্ডব নৃত্য নাচে
    নে চেয়ে নে ক্ষমা, নে সব মায়েদের কাছে ।