দেখেছি তাকে
গড়িয়ে চলে পাড়ি দিলো বহু পথ
জীবন রথ টেনে নিতে হতে হলো
অজস্র প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি,
গ্রহ-তারা সাক্ষী।
দেখেছি, তাকে সইতে হলো বহু ঘাত
ধাক্কা খেলো বড় বড় শিলায়
এমন ঘটনায় জীবন রক্ষা পায় নাকি?
বুক চিরলো বটে
বরাত জোড়ে প্রাণ রক্ষা হলো, বহুবার।
তবু তার থামার উপায় আছে কি?
নদীর থামতে মানা, না-পৌঁছে সাগরে।
চললো সে দুঃখ কষ্ট বুকে নিয়ে
সরল পথে যাবে?
সেও হলো না প্রতিবন্ধকতার কারণে।
নিরুপায়, গতিপথ বদলেছে বারবার,
তবুও থেমে থাকেনি।
ভাবনা, জানি না কিসের গন্ধ পেয়ে
পিঁপড়ের মতো সারিবদ্ধ ভাবে চলে এসে  
জানতে চায়,
সুখ, একদম-ই কি তার জোটেনি?
বলবো কী, এক পর্যায়ে শুনেছি তার কলধ্বনি,
নদী গেয়েছে গান, গুনগুণি।
সুখ ও দুঃখ, সে যে চক্রাকারে ঘুরে আসে
দেখেছি দুঃসময়ে তার হলো কী?
হতে হলো বহু কুমীর ও হাঙরের মুখোমুখি
সইতে হলো রাতদিন ওদের বহু দাপাদাপি।
এখানেই শেষ নয়,
জন্তুগুলো নদীতে ঢুকলে কত কী হয়।
ওদের লালসাও খুব, রসনা তৃপ্তি হয় না সহজে।
ভালোমন্দ খাবারের বাহানা? সেও খুব।
রাতদিন সেসব লেগে থাকে।
এই তো সেদিন, ওদের রাক্ষুসে খিদে পেলো
রান্না করা খাবারের ভাঁড়ার ঘরে ঢুকে
যা পেল গলা অবধি খেলো  
ঢকঢক করে জলও গিললো, খুউব।
এমনি দশা, নদীও শুকলো প্রায়।
গ্রহ বৈকল্যে এমন দশা হলে যা হয়
বাঁকে এসে নদীতে জমলো চড়।
নদী হারালো কদর।
জানি না, এখানেই তার দুর্দশার শেষ কি?
জন্তুগুলোর আশ মিটলো কিনা!
জেনেছি নদীর বুকে এ সময় একরাশ যন্ত্রণা
তবুও তার দুর্দশার অন্ত নাই।
দেখেছি এক বাঘিনী করলো কী?
দৌড়ে এসে গহন বন থেকে
ঝাঁপিয়ে পড়লো নদীর বুকে,
উল্কার মতন তার আগমন।
ধপাস ধপাস করে ভাঙলো নদীর পাড়
করলো চারদিক ছারখার।
বিধ্বস্ত নদী, এখন দুঃখ কষ্টে ম্রিয়মাণ!
জানি না, তার দুর্দশার বাকি আছে কত আর!