বইছে মৃদুমন্দ বাতাস, বসন্ত এসে গেছে
পরিযায়ী পাখিরা সেকথাই ভেবেছে।
এতদিন এই পাখিরা কে কোথায় ছিল, কে জানে!
বসন্তের আগমনে গায়ে মৃদুমন্দ হাওয়া লাগতেই
ওরা দলে দলে জনারণ্যে ফিরে এসেছে।
গাছের ডালে বসে কুহু কুহু করে ডাকছে কোকিল।
এসময় জনগণের মুশকিল আসানে
আকাশে বনবন করে উড়ছে অজস্র চিল
ওদের নজর ভাগাড়ের দিকে
মরা জন্তুদের খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবে
এই বলে গলা ছেড়ে করছে চিৎকার।
ওদের এই চিৎকারে গৃহস্থদের বেঁচে থাকা দায়
তবু সমাজবন্ধুদের এ চিৎকার থেকে নেই নিস্তার।
বসে নেই বাদবাকি পাখিরাও, ওরাও মেলেছে ডানা
কেননা মন্দিরে বেজেছে কাঁসর-ঘণ্টা
পাখিরা জেনে গেছে, এই ঘণ্টা সবসময় বাজে না।
পুরোহিত মশাই কখন পূজা করতে এসে
এই কাঁসর-ঘণ্টা বাজাবেন
পরিযায়ীদের মনে এই ধ্যান-জ্ঞান
দীর্ঘসময় ওদের কাটাতে হয়েছে তার-ই প্রতীক্ষায়।
এখন ঘণ্টা বেজেছে যখন, আর বসে থাকা যায়?
পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা, ভাবছে ওরা কী জানি আছে বরাতে?
ভাবছে হরির লুটের কিছু প্রসাদ যদি জোটে
তাই ওরা বনবন করে উড়তে শুরু করেছে।