বলার অপেক্ষা রাখে না, খুবই তৃষ্ণার্ত
গলা শুকিয়ে কাঠ, স্বর বের হচ্ছে না গলায়,
বেঁচে থাকার দায়ে খুঁজতে খুঁজতে
নদীতীরে পৌঁছে গিয়েছি জলতৃষ্ণা মেটানোর ইচ্ছায়।
সামনে বহমান জল, তবু তৃষ্ণা মেটাতে জল খাওয়া হলো না
বাদ সেঁধেছে ওই যে মস্ত বড় এক গাধা!
উজানে জল ঘোলা না করে তার সাধ মিটলো না।
পা দিয়ে সাধ্য মতো চটকালো কাদা।
ভেবেছে বোধ হয় সে নিজেকে খুবই বুদ্ধিমান
জানে না, বাস্তবে পশুদের সমাজেও বড্ড বেমানান।
নদীর উজানে জল ঘোলা করেছে সাধ্যমতো
অনেক তো হলো, জল ঘোলা করবে আর কত?
সেই সকাল থেকে কাদা চটকিয়ে এখন খুবই পরিশ্রান্ত।
বুঝতো যদি অনেক তো হলো,
সূর্য ঢলে পড়ছে পশ্চিমে, বেলা বহুদূর গড়ালো
কাদা চটকাতে পারবে আর কত?
ইচ্ছা থাকলেও বোধ হয় শরীরে সায় দিচ্ছে না
অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল চেয়ে দেখছে থিতিয়ে যাচ্ছে আবর্জনা।
পরিশ্রুত জল পেতে আর খুব বেশি দেরি নেই
গাধা জল ঘোলা করলে একটু তো অপেক্ষা করতেই হয়।